হোম > ছাপা সংস্করণ

দিঘি দূষণে ঝুঁকি জনস্বাস্থ্যে

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

ডাস্টবিন না থাকায় ময়লা-আবর্জনা ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের আটটি বড় দিঘিতে। যে কারণে ক্রমেই দূষিত হয়ে পড়ছে দিঘিগুলো। দুর্গন্ধে একদিকে যেমন পরিবেশ ভারী হচ্ছে, অপরদিকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

পৌরবাসীর অভিযোগ, নালার ব্যবস্থা না থাকায় তাঁদের যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হচ্ছে। এসবের বেশির ভাগই গিয়ে পড়ছে পৌর সদরের দিঘিগুলোতে। ফলে দূষণের শিকার হচ্ছে পৌর সদরের প্রাণ কেন্দ্রে থাকা থানা দিঘি, গজারিয়া দিঘি, বৃন্দার মা দিঘি, লাল দিঘি বা জেলা পরিষদ দিঘি, রেলওয়ে স্টেশন দিঘি, আমিরাবাদ দিঘি, শিবপুর দিঘি ও নুনাছড়া দিঘি।

বাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং বাসা-বাড়ির মাছ ও মাংসের বর্জ্য দিঘির পাশে ফেলা হয়। যা অল্প সময়েই দিঘির পানিতে মিশে যায়।

এর জন্য পৌরসভার সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকাকে দায়ী করেন পৌর সদরের দক্ষিণ মহাদেবপুর এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক লিটন কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, অধিকাংশ বাসা-বাড়ি ও হোটেল-রেস্তোরাঁর বর্জ্য দিঘিসহ মহাসড়কের আশপাশে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়াও গোসলখানা ও টয়লেটের নোংরা পানিও কোথাও কোথাও দিঘিতে পড়ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এসব দিঘির পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ। এ ছাড়া ময়লার স্তূপের কারণে মশার উপদ্রব বাড়ছে।

বড় বাজারের বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র সোম বলেন, একসময় তাঁরা রান্নার কাজে লাল দিঘির পানি ব্যবহার করতেন। বর্তমানে দিঘির পাশে বর্জ্য ফেলায় পানির স্বাভাবিক রং বদলে গেছে। পাশাপাশি উৎকট গন্ধে আশপাশে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ে। আশপাশের বাসিন্দাদের বাধ্য হয়েই এখানকার নোংরা পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে।

পৌরসভার সূত্রের দাবি, পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা দূর ও সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তদারকিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিঘি ও পুকুর পরিচ্ছন্ন রাখতে ১২ কিলোমিটার নালা নির্মাণ করা হয়েছে। নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে আরও ৩০ কিলোমিটার নালা নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

পৌরসভার সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সচেতন রয়েছেন তাঁরা। প্রতিদিন পৌর সদরের সকল বর্জ্য সংগ্রহ করে তাঁদের গাড়িগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলছে। তারপরও বেশ কিছু ব্যবসায়ী ও ভবন মালিক যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে দূষিত করছেন। নাগরিকেরা সচেতন না হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, দূষিত পানি পেটে গেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি এসব দূষিত পানিতে জন্ম নেওয়া মশার কামড়ে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়াসহ চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। শীতের শুরু থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি পৌর সদর এলাকার বাসিন্দা বলেও জানান তিনি।

সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে পৌর সদরের প্রতিটি এলাকার মোড়ে ও বাজারে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কিছু অসচেতন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলেন।

নতুন নালা নির্মাণে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মেয়র। তিনি বলেন, অভিযানের মাধ্যমে দখলদারদের কবল থেকে নালা-খাল মুক্ত করা হবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন