নোয়াখালীর ভাসানচরে অষ্টম ধাপে আরও ৬১৩ রোহিঙ্গা এসেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর পৌঁছায়। এ সময় ঘাটে রোহিঙ্গাদের জন্য অপেক্ষায় থাকা নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাঁদের স্বাগত জানান।
অষ্টম ধাপে আসা ৬১৩ রোহিঙ্গার মধ্যে ২২৫ জন পুরুষ, ১৪৪ জন নারী ও ২৪৪ জন শিশু রয়েছেন। এর আগে আরও ৭ ধাপে ১৮ হাজার ৭ শত ২৬ রোহিঙ্গা নাগরিককে অস্থায়ী বসবাসের জন্য ভাসানচরে আনা হয়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। পরে তাঁদের জন্য তৈরি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওয়্যার হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে ধারণা দেন নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেখানে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।