Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বাড়ছে শীতের তীব্রতা, দিনভর ঘন কুয়াশা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাড়ছে শীতের তীব্রতা, দিনভর ঘন কুয়াশা

পঞ্জিকার হিসাবে আজ থেকে শুরু হয়েছে শীত ঋতুর প্রথম মাস পৌষ। ইতিমধ্যে উত্তরে জেঁকে বসেছে ঠান্ডা।

ঘন কুয়াশা ভেদ করে সকাল নয়টার পরে উঁকি দেওয়া সূর্য বিকেল চারটা বাজতে না বাজতেই হারিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসে একাধিক মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।

দিনাজপুরে গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তখন তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করবে।

শীতের কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো দিনেও আলো জ্বালিয়ে চলছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।

ইজিবাইকচালক সাজেদুর রহমান জানান, শহরে লোকজনের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে দিনে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হতো এখন ৫০০ টাকাই হয় না। মালিকের ভাড়া জমা দেওয়ার পর বাজারের টাকাই থাকে না।

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন।

জেলা সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, হঠাৎ দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী অনেক বেড়ে গেছে। রোগ প্রতিরোধে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বন বিশেষভাবে প্রয়োজন। পাশাপাশি কোনো শিশু আক্রান্ত হলে তাকে অন্য শিশুদের থেকে আলাদা রেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গতকাল সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল এখানে।

পাথরশ্রমিক হাফিজান বেগম বলেন, ‘দুই দিন থেকে কুয়াশা যেমন বাড়িছে, শীতও বেশি লাগেছে। বেশি সকালে কাজত আসা যায় না। হাত-পা ঠান্ডাত জড়ো হয় আচ্চে।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, ডিসেম্বরের শেষে তাপমাত্রা আরও কমবে। তখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

এদিকে শীত মোকাবিলায় জেলার পাঁচ উপজেলায় দরিদ্র শীতার্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ২২ হাজারেরও বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম।

কুড়িগ্রামে গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় সকালে কাজে বের হতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতের পোশাক কেনার চাহিদাও বেড়েছে। বিভিন্ন উপজেলার মোড়ে মোড়ে বসেছে পিঠার দোকান। সন্ধ্যা হতেই এসব দোকানে ভিড় বাড়ছে।

শীত মোকাবিলায় জেলার গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব কম্বল ইতিমধ্যে নয় উপজেলায় দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘শীত মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে শীতার্তদের জন্য কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোথাও কোনো শীতার্তের খবর পাওয়া গেলে আমরা তাঁদের শীতবস্ত্র দেওয়ার ব্যবস্থা নেব।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ