Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বুড়িমার গাছতলায় মিলনমেলা

রাসেল আহমেদ, তেরখাদা

বুড়িমার গাছতলায় মিলনমেলা

খুলনার তেরখাদার ছাগলাদহে বুড়িমার গাছতলায় ৫৬তম বার্ষিক মহোৎসব বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। গত শনিবার দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা ভক্তদের আগমনে সারা দিন চলে ‘বুড়িমা’র জয়গান, উৎসব আর বাদ্যযন্ত্রের বাজনা। বুড়ি মায়ের সংকীর্তনে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।

খুলনা-৪ আসনের সাংসদ আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানের দিক-নির্দেশনায় থানার ওসি মো. জহুরুল আলমের কঠোরতায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মেলা সুন্দর ও শৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে আর্থিক অনুদান করেন খুলনা-৪ আসনের সাংসদ আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ ফ ম আব্দুস সালাম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মোতালেব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এফএম অহিদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শারাফাত হোসেন মুক্তি, রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. এমদাদুল ইসলাম, এসএম হাবিব, আক্তার ফারুক, এমপি’র চিফ কো-অর্ডিনেটর নোমান ওসমানি রিচি, সালাম মুর্শেদী সেবা সংঘের টিম লিডার শামসুল আলম বাবা, খান সেলিম শেখ, মঈন শেখ ও আব্দুল্লাহ্ আল মামুন প্রমুখ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বহু বছর ধরে বৈশাখের শেষ শনিবার তেরখাদার ছাগলাদহ বাজারে বুড়িমার গাছতলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব ও একদিনের মেলা বসে। জনাকীর্ণ মেলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভিড়ে মিলনমেলায় পরিণত হয় তেরখাদাবাসীর। শুধু তেরখাদা বা খুলনা নয়; পার্শ্ববর্তী জেলা ও দূর-দুরন্ত থেকে আসেন বুড়িমার ভক্তরা।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বজনপ্রিয় এই বুড়িমা ছিলেন ঐর্শ্বিকজ্ঞানের আধার, নিঃস্ব-অসহায় মানুষের বন্ধু, পাপীর মন পরিবর্তন, রোগীদের সুস্থতাকারী বহুগুণে গুণান্বিত এক মহান যোগী মাতা। তাই সাধারণ মানুষ জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনে তার মধ্যস্থতা কামনা করেন। তাই এই তীর্থস্থানে আজও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ তার মধ্যস্থতায় ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভের জন্য আসেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, একটি বিশাল বটবৃক্ষের ছায়াতলে বুড়িমার প্রতিমায় এসে সিঁদুর মাখানো, মিষ্টি-ফিরনি ও বিভিন্ন প্রসাদ বিতরণে মেতে ওঠেন পূজারিরা। পরে পাশের চিত্রা নদীতে পূণ্যস্নানের মনোবাসনা পূরণে মানত করে তারা। আবার মনোবাসনা পূর্ণ ব্যক্তিরা বুড়ি মাকে মানসীর বস্তু প্রদান করেন।

গাছতলা প্রাঙ্গণে বিশাল মেলা বসে। মেলায় বিকিকিনি হয় গ্রাম্য বাংলার সব ঐতিহ্যবাহী পণ্য সামগ্রী। যেমন-কুলা, ঝুড়িসহ হস্ত ও কুটির শিল্পের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র। মেলায় প্রায় ৫ শতাধিক স্টল বসে। উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা উপজেলা থেকে নারী-পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধসহ প্রায় লক্ষাধিক লোকজনের সমাগম হয়।

উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি ও ছাগলাদাহ বুড়ো মায়ের গাছতলা কমিটির নির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দ প্রসাদ সাহা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক মিলন মেলা এটি। এই মিলন মেলায় সকলের মনোবাসনা পূর্ণ হোক এবং সব হানাহানি বন্ধ করে অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হক এই কামনা করি।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ