টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অসময়ে ঝিনাই নদে (স্থানীয় নাম বউমরা) ভাঙন শুরু হয়েছে। নতুন করে নদের ভাঙনে পাকা রাস্তা, ফসলি জমি, ব্যবসাকেন্দ্র ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
এ ছাড়া ভাঙনে কুর্নি-ফতেপুর পাকা রাস্তার বইলানপুর ও হিলড়া এলাকার বড় একটি অংশ নদীতে বিলীন হওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে দুই ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলীর আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, অসময়ে তৃতীয় দফায় পানি বাড়ার কারণে নতুন করে কয়েকটি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষার শেষ মৌসুমে তৃতীয় দফা পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝিনাই নদে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। এতে ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর পালপড়া, হিলড়া বাজার, বইলানপুর, সুতানড়ী, বানকাটা, পারদীঘি ও চাকলেশ্বর এলাকার ভাঙনে পাকা রাস্তা, ব্যবসাকেন্দ্র ও বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙনের ফলে হাট ফতেপুর বাজার এলাকার ধীরেনের চা স্টল এলাকার সড়ক ও হিলড়া বাজার এখন হুমকির মুখে। নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় হাট ফতেপুর উচ্চবিদ্যালয় ও হিলড়া উচ্চবিদ্যালয়টি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া ভাঙনে সুতানড়ী, বানকাটা ও থলপাড়া গ্রামের বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে বলে জানান এলাকার কৃষকেরা।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ জানান, বর্ষার শুরুতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়। পরে কয়েক দফায় পানি কমা-বাড়ার সঙ্গে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে; বিশেষ করে ফতেপুর বাজারে ধীরেনের দোকানের সামনে থেকে সড়কটি ভাঙায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভাঙন রোধে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।