হোম > ছাপা সংস্করণ

ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন: সংসদ সদস্যের সমর্থন পেতে মরিয়া প্রার্থীরা

ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের। আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিটি মেয়র এবং সদর আসনের সংসদ সদস্যের মধ্যে বিভেদের সুযোগ নিয়ে জয়ের প্রত্যাশা করছেন অনেক মেয়রপ্রার্থী। নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ প্রার্থী মরিয়া হয়ে ছুটছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থন পেতে। অবশ্য আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, চলমান বিভেদ নিরসনে কাজ করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করে গ্যাজেট প্রকাশ করা হয়। পরের বছর ৫ মে ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। যদিও সিটির প্রথম ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন ইকরামুল হক টিটু। ওই ভোটে কেবল কাউন্সিলর পদগুলোয় ভোট হয়। ময়মনসিংহ সিটিতে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর সঙ্গে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটুর বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম। শান্ত নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর মেয়র টিটু তাঁকে সমর্থন দিয়েছিলেন। পরে বড় ভাই আমিনুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে পিছু হটেন টিটু। এতে ক্ষুব্ধ হন শান্ত। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, সিটি নির্বাচনে সহজেই কারও জয় হবে না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয় পান শান্তই।

এদিকে সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা কৌশলে প্রচার শুরু করেছেন। এবার মেয়রপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ এহতেশামূল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু এবং নগর আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারমার্জ আল নূর রাজীব। এর মধ্যে রাজীব ময়মনসিংহ পৌরসভার প্রথম মেয়র প্রয়াত মাহমুদ আল নূর তারেকের ছেলে।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী অ্যাডভোকেট ফারমার্জ আল নূর রাজীব বলেন, ‘বাবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যেই আমি প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি, সাধারণ মানুষ আমাকেই বেছে নেবে। সংসদ নির্বাচনে যেহেতু আমার অবস্থান নৌকার পক্ষে ছিল, সেহেতু স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থন আমার পক্ষে আসবে।’

আরেক মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন থেকেই ময়মনসিংহের রাজনীতিতে দুটি গ্রুপ প্রকাশ্যে এসেছে। সেটার প্রভাব সিটি নির্বাচনে অবশ্যই পড়বে। নৌকার জয়ে আমার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আমি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের সমর্থন পুরোটাই পাব। এবার নগরবাসী অপরিচ্ছন্ন, নোংরা, ধুলাবালি ও অপরিকল্পিত নগরী থেকে মুক্তি পেতে আমাকেই বেছে নেবেন।’

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ এহতেশামূল আলমও। তিনি বলেন, ‘আমি মাঠে নামার পর সংসদ নির্বাচনে নৌকার জোয়ার ওঠে। সেই জোয়ারে নৌকার মাঝি হয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত। অপরিকল্পিত নগরীকে গোছানোর জন্য সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমি প্রার্থী হয়েছি। মানুষ যে উন্নয়ন চায়, সেটি ময়মনসিংহ নগরীতে হয়নি। সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ বাড়লেও তাদের দুর্ভোগ কমেনি। সাধারণ মানুষ এখন পরিবর্তন চায়।’

তবে দলে স্থানীয় পর্যায়ের বিভেদ সিটি নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু। তিনি বলেন, ‘দলমত-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের কাছে আমার একটা অবস্থান রয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করে চলেছি। আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, করোনা পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবের কারণে সম্ভব হয়নি। আমি মনে করি না জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রভাব সিটি নির্বাচনে পড়বে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলও মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব সিটি নির্বাচনে পড়বে না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ পাওয়া প্রার্থী আমিনুল হক শামীমের পক্ষে কাজ করেছি। জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতেই জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। সেই থেকে সর্বত্র কিছুটা বিভেদ লক্ষ্য করা গেছে। সেই বিভেদ নিরসনের জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনাও আসছে। আশা করছি, আসন্ন সিটি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই তা নিরসন হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ