করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে। ফলে কমছে করোনা শনাক্তের হার ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা। তাই বলে করোনা স্বাস্থ্যবিধিতে গাফিলতির সুযোগ নেই বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সর্বশেষ তথ্যমতে, গত শনিবার পর্যন্ত বিশ্বে আরও ৩১ লাখ ২০ হাজার ৪৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন তা ছিল ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৫। এ অবস্থায় বিশ্বের দেশে দেশে ওমিক্রন সংক্রম চূড়ায় পৌঁছেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে ক্রমেই তা কমবে।
রয়টার্স জানায়, অস্ট্রেলিয়ায় গতকাল ১ লাখের বেশি নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে তা আগের দিনের তুলনায় কম। কঠোর বিধিনিষেধের দেশটিতে এ নিয়ে টানা চার দিন সংক্রমণের পরিমাণ ১ লাখ ছাড়াল। এ অবস্থায় দেশটিতে ওমিক্রনের ঢেউ চূড়ায় পৌঁছেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পল কেলি গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের যে পরিমাণ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হচ্ছে, তা আরও কিছুদিন চলবে। তবে আমাদের শনাক্তের হার ক্রমেই কমছে। হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণও কমছে। তাই অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমরা ওমিক্রনের চূড়া অতিক্রম করব বলে মনে হচ্ছে।’
গতকাল সকাল পর্যন্ত ভারতে আরও ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় একটু বেশি। আগের দিন ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার ২০২ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ কোটি ৬৭ লাখ। দেশটিতে গতকাল করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৪০২ জনের। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫২।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট গত বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূলক টিকার প্রস্তাব স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মীসংখ্যা ১০০-র বেশি, তাদের জন্য টিকা বা নিয়মিত করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিল বাইডেন প্রশাসন।
নিয়মিত ক্লাসে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ও শিকাগো অঙ্গরাজ্যে গত বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার স্কুলশিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেছে। তা ছাড়া, কঠোর বিধিনিষেধেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।