Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

কাগজে আছে বাস্তবে নেই

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)

কাগজে আছে বাস্তবে নেই

ইছামতী ও ধলেশ্বরী নদী ঘিরে কৃষিনির্ভর উপজেলা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান। কাগজে-কলমে উপজেলায় ছোট-বড় ২০টি খাল রয়েছে। তবে বাস্তবে এসব খালের কয়েকটির অস্তিত্বই নেই। দখল-দূষণে খালগুলো এখন পানিসংকটে পড়েছে। উপজেলার কৃষকেরা ধান, আলু, সরিষা, ভুট্টাসহ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তবে বছরের বেশির ভাগ সময় খালগুলোতে পানি না থাকায় ফসল ফলাতে নলকূপ থেকে সেচ দিতে হচ্ছে। তাই খালগুলো পুনর্খননের দাবি কৃষকদের।

জানা গেছে, এ উপজেলায় ছোট-বড় ২০টি খাল ছিল। খালগুলোর মধ্যে রয়েছে পণ্ডিতের খাল, হোতার পাতা খাল, বইচার খাল, ঝুড়ির খাল, টেকের হাট খাল, আদাকোলা খাল, সতাই নন্দীর খাল, গোরগঞ্জের খাল, কুদের অফিস খাল, পালের বাড়ীর খাল, তেলিপাড়া খাল, বাসুদি খাল, শ্যামসিদ্ধির খাল, দেওয়ার বাড়ীর খাল ও টানের খাল।

সরেজমিন দেখা যায় সিরাজদিখান বাজার এলাকার ইছামতী শাখা খালটি একবারে শুকিয়ে গেছে। অনেক খালেই শুকনো মৌসুমে থাকে নাব্যতা-সংকট। বছরের বেশির ভাগ সময় পাওয়া যায় না পানি। পলিমাটিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, অনেকে হাসপাতাল, অফিস, বাড়ি নির্মাণের জন্য যাতায়াতের পথ তৈরি করতে গিয়ে খালের অংশ ভরাট করছেন। অনেকে মাছের চাষ করছেন। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন সড়কের ওপর পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু করার সময় অস্থায়ীভাবে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করে। তবে সেতু নির্মাণ শেষে সেই সড়কের মাটি ঠিকমতো অপসারণ না করায় সময়মতো পানি প্রবাহিত হতে পারে না। এতে করে খালগুলোর পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মালখানগর ইউনিয়নের বাসিন্দা আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের খালটি বছরের বেশির ভাগ সময় শুকিয়ে থাকে। ভালোভাবে খনন করে দিলে বছরের অনেকটা সময় পানি থাকত এবং কৃষকদের অনেক সুবিধা হতো। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, এই খালটি পুনরায় খনন করে দিলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’

গোবরদী গ্রামের বাসিন্দা হাজেরা বেগম বলেন, ‘আমি নৌকা দিয়ে আমার বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসতাম। এখন আর সম্ভব না। এখন খালটি শুকিয়ে গেছে। কত বছর আগে খনন করেছিল জানি না। এই খালটিতে এখন পানি থাকে না। ভালোভাবে যদি খনন করা হতো, তাহলে ১২ মাস খালে পানি পাওয়া যেত। মানুষজন মাছ ধরে খেতে পারত এবং কৃষকরাও জমিতে পানি দিতে পারতেন। এখন খাল শুকিয়ে মরে গেছে।’

রাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা গবেষক ও লেখক ড. মো. সাইদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি বিক্রমপুর তথা মুন্সিগঞ্জের ইতিহাস নিয়ে তিনটি বই লিখেছি। সেই বইগুলোতে লেখার জন্য আমি বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়িয়েছি এবং খাল-বিল-নদী-নালাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছি। আমাদের উপজেলায় ছোট-বড় ২০টি খাল কাগজে রয়েছে, বাস্তবে নেই। এই খালগুলো এখন দখল-দূষণ হয়ে গেছে। খালগুলো সচল থাকলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন। এই খালগুলো সিএস নকশায় রয়েছে। নকশা ধরে এসব খাল উদ্ধার করে খনন করলে কৃষকেরা উপকৃত হবেন।’

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা খাল পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছি। যদি কোথাও কোনো খাল দখল হয়, তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ