বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তিনটি ইটভাটার অনুমোদন না থাকায় বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত রোববার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অভিযান চালায়।
অভিযান চালিয়ে অনুমতি ছাড়া গড়ে তোলা দুটির চিমনি, কাঁচা ইটসহ অন্য সামগ্রী এক্সকাভেটর ও বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বদানকারী জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় দেরিতে হলেও রোববার নাইক্ষ্যংছড়িতে এই অভিযান চালানো হয়। ইটভাটা তিনটি হলো উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের খালেদ সরওয়ার খারেজের মালিকানাধীন কেআরই ব্রিকস্, সাজু বড়ুয়ার মালিকানাধীন ডিএসডিব ব্রিকস্ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি এলাকার এসএইচবি ব্রিকস্।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, হাইকোর্টের রিট পিটিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই অভিযান চালান। অভিযানে র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইটভাটা দুটির চিমনি, পোড়ানোর জন্য তৈরি কাঁচা ইট, জ্বালানি কাঠসহ অন্য সামগ্রী বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই আদেশে ভাটা দুটির কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে অংশ নেওয়া পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন বলেন, ‘ইটভাটা দুটি পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে চলে আসছিল। বারবার সতর্ক করার পরও ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করেননি মালিকেরা।’
অভিযানে আরও অংশ নেন জুনিয়র কেমিস্ট মো. আব্দুস ছালাম।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে অনুমতি ছাড়া গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কার্যক্রম বন্ধের বিজ্ঞপ্তি ভাটা এলাকায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সংবাদকর্মীদের বলেছিলেন, বান্দরবানে অনুমতি ছাড়া গড়ে তোলা ভাটায় ইট তৈরি কার্যক্রম চলছিল। তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে বান্দরবানের লামার ফাইতং ও আজিজনগর এবং আলীকদমের অবৈধ ইটভাটাগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালত স্থায়ীভাবে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।