বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে যুক্ত আছেন অসংখ্য ভারতীয় গাড়িচালক। এই চালকদের অনেকেরই বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। ফলে জাল লাইসেন্সে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন তাঁরা।
গত তিন দিনে (রোববার-মঙ্গলবার) সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৯০টি জাল লাইসেন্স জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এসব চালক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বিএসএফের এক বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তারা ৯০টি জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু হালকা গাড়ির লাইসেন্সে ভারী গাড়ি চালানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে। ঘোজাডাঙা ও মোহাদিপুর স্থলবন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৭৭টি জাল লাইসেন্স।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার সূত্রে জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচার-বাণিজ্য রুখতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বিএসএফ। তল্লাশি চালাতে গিয়েই বিপুল পরিমাণজাল লাইসেন্স ধরা পড়ে। বিএসএফের মুখপাত্র ডিআইজি এস এস গুলেরিয়া জানান, সীমান্তে পাচার-বাণিজ্যের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।
এদিকে, বিএসএফের এই অভিযানের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ীর মতে, তল্লাশি বা চোরাকারবার বন্ধের নামে অনেক সময় বাড়াবাড়ি করছেন বিএসএফ জওয়ানেরা। বৈধ ব্যবসায়ীদের অযথা হয়রানির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি ধর্মঘট করেছেন বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের আমদানি-রপ্তানিকারকেরা। তবে বনগাঁ গুড ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এখন থেকে আমদানি ও রপ্তানির সঙ্গে জড়িতদের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচয়পত্র দেবে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেনাপোল-পেট্রাপোল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর। বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে উভয় দেশের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পারাপার। দ্বিপক্ষীয় স্থল বাণিজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ হয় এই পথে। প্রতিবছর বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে গড়ে ২২ লাখ মানুষ সীমান্ত পার হয়।