কানাইঘাট উপজেলার চটিগ্রামের মৃত ইছরাক আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী। কুয়েত থেকে ফিরেছেন তিন বছর আগে। এরপর বেকার হয়ে পড়েন। অনেক ভেবে–চিন্তে বাড়ির উঠানে শুরু করলেন মাল্টা ও কমলার চাষ। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। প্রবাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এখন তিনি সফল ফলচাষি। নিজের বাগানের ফল বিক্রি করে ভালোই চলে তাঁর সংসার।
কথা হয় মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন তিনি প্রবাসে ছিলেন। তিন বছর আগে দেশে ফিরে বেকার হয়ে পড়েন। চিন্তা করতে থাকেন প্রবাসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু করা যায় কি না। একপর্যায়ে কানাইঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বাড়ির উঠানে মাল্টা বাগান ও কমলা বাগান করেন। এ বছর প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকার মাল্টা ও কমলা বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া এলাকার মানুষ ফরমালিন মুক্ত মাল্টা ও কমলা তাঁর বাগান থেকে প্রতি কেজি ২ থেকে আড়াই শ টাকায় কিনে নিচ্ছেন।
কানাইঘাটের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হারিছ বলেন, ‘মাল্টা চাষ লাভজনক। তাই আমরা পরামর্শ দিই যাঁরা ফলজ বাগান করতে চান তাঁরা মাল্টা ও কমলার বাগান করবেন। মোহাম্মদ আলী একজন সফল কৃষক। আমরা তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।’