সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ ও পোশাকের জন্য কিডস অ্যালাউন্স (উপবৃত্তি) নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন মাগুরার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা।একটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমে এই উপবৃত্তি দেওয়া হলেও জেলার অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, তাঁরা টাকা পাননি।
অ্যাকাউন্ট খোলা হলেও বেশির ভাগ অভিভাবক পিন নম্বর জানেন না বলে মাগুরার প্রধান ডাকঘরে অবস্থিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার কেয়ারে ভিড় করেছেন। এতে ডাকঘরের স্বাভাবিক সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
মাগুরা প্রধান ডাকঘরের অস্থায়ী কার্যালয়ে গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শতাধিক অভিভাবকের ভিড় দেখা গেছে। ডাকঘরে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধির কাছে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ তুলে ধরছেন।
ডাকঘরে আসা ভুক্তভোগী অভিভাবক হাফিজা বেগম বলেন, ‘গতকাল (রোববার) এসেছি। কোনো সমাধান পাইনি। আজ (সোমবার) এসেছি, দেখি অনেকে এসেছেন। সবারই একই সমস্যা। কেউ টাকা মোবাইলে পায়নি। আমি এত দূর থেকে এসেছি, কোলের শিশুকে নিয়ে খুব ঝামেলায় আছি। তবু শুনছি আজও হবে না সমাধান।’
অভিভাবক শিল্পী খাতুন বলেন, বিদ্যালয় থেকে নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট খুলে দিলেও কোনো পিন নম্বর দেওয়া হয়নি। এটা ছয় মাস আগের ঘটনা। তাঁদের সন্তানদের নামে উপবৃত্তিসহ সরকারি ভাতাসমূহ এই অ্যাকাউন্টে আসার কথা। জানুয়ারি মাসে এই কিডস অ্যালাউন্স পাওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা নাকি এই মাসে ঢুকেছে। কিন্তু টাকা তো পিন নম্বর ছাড়া তোলা যায় না। বিদ্যালয় থেকে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটির অফিসে দেখা করতে বলেছে। এখানে শুনছেন, এখানে পিন নম্বর দেওয়া হচ্ছে না। বলছেন মঙ্গলবার টাকা চলে যাবে। পিন নম্বর নাকি সেখানে থাকবে।
এই টাকা না পাওয়ার দলে রয়েছেন মাগুরার মহম্মদপুর ও শ্রীপুর উপজেলার বেশ কিছু অভিভাবক। জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূর থেকে তাঁরা টাকা কেন পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ নিয়ে এসেছেন।
ডাকঘরে নিয়োজিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকসেবা প্রতিনিধি অনিক বলেন, সার্ভারের সমস্যার কারণে এটা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি একা, তাই কাজ করতে একটু দেরি হলেও এই সমস্যা কেটে যাবে। গতকাল মঙ্গলবার অনেকে টাকা পেয়েছেন। ৫-৬ দিনের মধ্যে বাকিরাও পাবেন।