হোম > ছাপা সংস্করণ

পদ্মা নদীতে বিলীনের ঝুঁকির মুখে ২০০ বসতভিটা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় আবার পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। উত্তাল ঢেউ আর প্রবল স্রোতের কারণে এই ভাঙনে গত এক সপ্তাহে দুটি বসতভিটা বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে নদীঘেঁষা উপজেলার আশপাশের গ্রাম ও বসতভিটা।

প্রতিবছরের মতো উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের সিংহেরহাটি গ্রাম ও লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের বড় নওপাড়া গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সপ্তাহখানেক ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে হোসেন মোল্লার ভিটেবাড়ি ভেঙে যায়। পরে তড়িঘড়ি করে ঘরটি ভেঙে অন্য স্থানে সরিয়ে রাখা হয়। মিঠু মোল্লার একটি ঘরের আংশিক পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। ১ নম্বর ওয়ার্ড বড় নওপাড়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কখন পদ্মায় গিলে খায়, সেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর ধরে আমি এই বাড়িতে থাকি। আমার বাড়ির ভবন ভেঙে যাচ্ছে। সামনের বাড়িঘর সব পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। আমরা অহন কোথায় যামু।’

আরেক বাসিন্দা জামাল মিয়া বলেন, ‘৩ দশক ধরে দেখছি, প্রতিবছর গ্রামের পর গ্রাম পদ্মায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে।’

ফাতেমা বেগম নামের গৃহিণী বলেন, ‘১৭ বছর ধরে বিয়ে হয়েছে, তখন আশপাশে নদী দেখিনি। এখন নদীর প্রতিটি ঢেউ কানে বাজে। আমরা আতঙ্ক দিনরাত কাটাচ্ছি। রাতে ঘুমাতেও পারি না। মনে হয় এই বুঝি পদ্মায় খেয়ে ফেলবে। দ্রুত এ ভাঙনের স্থায়ী সমাধান চাই।’

এদিকে ভাঙনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন। তাৎক্ষণিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা ভাঙন এলাকায় আসেন। তিনি ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ‘ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ডেকেছি। তাঁরা এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন। তাঁদের দ্রুত ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার জন্য বলেছি। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এসব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলব।’

এ ছাড়া গত বুধবার লৌহজং-টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৪৪৬ কোটি টাকার স্থানীয় বাঁধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এ প্রকল্পে লৌহজং উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম এবং টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের ৯ হাজার ১০০ মিটার নদীতীরবর্তী এলাকায় বাঁধের কাজ হবে। প্রথমে জিও ব্যাগ ফেলে ফাউন্ডেশন করা হচ্ছে। তারপর পাথর দিয়ে বাঁধ দেওয়া হবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন