নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সে যে দলেরই হোক বা যে ব্যক্তিই হোক—কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইল-৭ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রের বুথে অন্য কেউ ঢুকে একজনের ভোট যেন অন্যজন দিতে না পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের অত্যন্ত শক্তভাবে নির্দেশনা দিতে হবে। যদি কোথাও এমন ঘটনা ঘটে—যেখানে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোটের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছেন না—এমন হলে সেখানে ভোট বন্ধ করে দেবেন। তাঁরা যদি তা না করেন এবং যদি তাঁদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। এ ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। আর যদি এ রকম অনেক কেন্দ্র হয়ে যায়, তবে আপনারা পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দিতে দ্বিধান্বিত না হন।’
করোনাকালীন প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে শাহাদত হোসেন বলেন, করোনা প্রতিরোধে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটি মেনেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়ানোসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী রাখা হবে।
জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল-৭ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাহিদুল নবী চৌধুরী, সহকারী রিটার্নিং অফিসার এইচ এম কামরুল হাসান প্রমুখ।