দেবিদ্বারের ভানী ইউনিয়নের সাহারপাড় গ্রামের খন্দকার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় খন্দকার বাড়ির চারটি ঘর থেকে ১১ ভরি সোনা ও সাড়ে ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর।
এ সময় ডাকতেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে খন্দকারবাড়ির অন্তত সাতজন নারী-পুরুষকে জনকে কুপিয়ে জখম করেছেন। জখম ব্যক্তিরা হলেন আবদুল আলিম, আয়শা বেগম, তানভীর আহাম্মদ আফসানা আসমিক, মাহবুবু খন্দকার, সফিকুল ইসলাম এবং নাজিম উদ্দিন। তাঁরা সবাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খন্দকার বাড়ির সদস্য আবুল খাঁয়ের জানান, রাত দেড়টার দিকে একদল কালো মুখোশধারী ডাকাত খন্দকার বাড়ির চার ঘরে একই সময়ে হানা দেয়। এ সময় যাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করেছেন তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। বাকিদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের কোথায় কি আছে জানতে চাওয়া হয়। একপর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরের বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করে সোনার গয়না ও টাকা লুট করে নিয়ে যান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল আলিম বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাতে প্রায় ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল কালো মুখোশ পরে বাড়ির চারটি ঘরে প্রবেশ করেন। কাউকে ডাকাডাকি করলেই মেরে ফেলবে বলে আমাদের গলায় অস্ত্র ধরেন তাঁরা। এ সময় ডাকাত দলটির অন্য সদস্যরা ঘরে রাখা সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে যান। আমি প্রথমে বাধা দেওয়ায় তাঁরা আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন।’
খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মারুফ রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার তদন্ত করে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।