কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শীত বাড়ার সঙ্গে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে ৪০টি শিশুকে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও দেড় শতাধিক শিশুকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রোগীর ও অভিভাবকদের অভিযোগ, স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধপত্র বাইরে থেকেই কিনতে হচ্ছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবকেরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের কোলে নিয়ে বারান্দায় বিছানা পেতে কিংবা চেয়ারে বসে শিশুদের স্যালাইন দিচ্ছেন। এ সময় কথা হয় ৮ মাসের শিশু কন্যা মরিশার চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার দাঁতভাঙা গ্রামের রেজেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, তিনদিন ধরে তার মেয়ের ডায়রিয়া। শনিবার সকালে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। একই কথা বলেন সন্তানকে চিকিৎসা করাতে আসা নওদাপাড়া গ্রামের মজনু মিয়া ও বোয়ালমারী গ্রামের সহিদুর রহমান।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মোক্তারুল ইসলাম জানান, শীতজনিত কারণে রৌমারীতে রোটা ভাইরাসের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় হাসপাতালে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে জনবল সংকট থাকলেও ওষুধপত্রের সংকট নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে আমাদের উপজেলায় আবহাওয়াজনিত কারণে এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এখন ডায়রিয়ার সংক্রমণ বাড়ছে। এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। আমরা সাপোর্ট চিকিৎসা দিচ্ছি।