যশোরের চৌগাছায় শিগগির কপোতাক্ষ খননকাজ শুরু হবে, এমন খবর পেয়ে বালু লুটের মহোৎসবে মেতেছেন প্রভাবশালী অসাধু ব্যক্তিরা। খননকাজ শুরু হলে আর বালু লুট করার সুযোগ থাকছে না ভেবে তাঁরা প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। প্রশাসন কয়েক দফায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও থামছে না এই বালু লুট।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে কপোতাক্ষ নদের চৌগাছা অংশে খনন কাজের দরপত্র হয়। এর পর চৌগাছা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হুদা চৌগাছা এলাকা থেকে নদ খনন শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় দুই থেকে ৩০০ মিটার নদ খননের পরই কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের কর্মকর্তারা খননকাজ শুরু করার লক্ষ্যে নদের চৌগাছা শহরের অংশে সীমানা চিহ্ন দেওয়া শুরু করেন। এতে নদ খননের পর আর নদ থেকে বালু তোলা যাবে না ভেবে নিয়ে চৌগাছার অসাধু বালু উত্তোলনকারীরা কপোতাক্ষ নদের বিভিন্ন স্থানে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া স্থানীয়দের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নদে মেশিন দিয়ে বালু তুললে আশপাশের কৃষকদের ফসলি জমি ধসে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা নানাভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করতে থাকেন। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে চৌগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বায়েজিদ হোসেন গত ২ ফেব্রুয়ারি চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বালু উত্তোলনকারীদের মোবাইলে বালু তুলতে নিষেধ করেন। তখন তাঁরা কথা দেন আর বালু তুলবেন না। নিষেধের পর সেখানে এক দিন বন্ধ রেখে ফের বালু তোলা শুরু করেন তাঁরা।
চৌগাছা থানা সূত্রে জানায়, থানা থেকে পুলিশের তৈরি অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনকারীদের একটি তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’
ইউএনও ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘গত বুধবার অভিযান চালিয়ে যন্ত্র বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। তবু বালু তোলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আবারও অভিযান চালানো হবে।’