ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে ভোলার লালমোহন উপজেলার লঞ্চঘাটগুলোতে। লঞ্চে উঠতে যাত্রীরা প্রতিযোগিতা করছেন। লঞ্চের স্টাফরা যাত্রীদের উঠতে বাধা দিলেও কাজ হচ্ছে না। এতে বাধ্য হয়ে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়তে হচ্ছে লঞ্চগুলোকে।
লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীদের চাপ কয়েক দিনের তুলনায় কমেছে। প্রতিদিনই কমতে থাকবে। আর লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী যাতে উঠতে না পারে, তার জন্য নিয়মিত তদারক করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার উপজেলার মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাট, নাজিরপুর লঞ্চঘাট, লালমোহনের নতুন লঞ্চঘাট, গজারিয়া খালপাড় লঞ্চঘাট ও কচুয়াখালী লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। যাত্রীদের বেশির ভাগ কারখানার শ্রমিক ও দিনমজুর।
এ সময় ফারহান ও কর্ণফুলী ও তাফসির লঞ্চে দেখা গেছে, যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী উঠেছে।
আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে যাত্রীদের চাপ কমে যাবে বলে জানিয়েছেন লঞ্চের স্টাফরা।
পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সালাউদ্দিন। ঢাকার একটি সেমাই কারখানায় চাকরি করেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে ফিরছেন কর্মস্থলে। তিনি বলেন, ‘রমজানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাতদিন কারখানা কাজ করেছি। ঈদে সেমাই একটু বেশি চলে। এ কারণে চাপ বেশি ছিল। ঈদের পর কারখানায় চাপ কম। তাই মালিক ছুটি বেশি দিন দিয়েছেন। এখন কারখানা খুলছে। তাই আবার কর্মস্থলে ফিরছি।’
শুধু সালাউদ্দিন নন, তাঁর মতো অনেকেই ফিরছেন কর্মস্থলে।
মঙ্গলসিকদার ঘাটে কথা হয় যাত্রী অসীম আকরাম বাবুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি নিউমার্কেটে একটি কাপড়ের দোকানের ম্যানেজার। ঈদের আগের দিনও সারা রাত বেচাকেনা করতে হয়েছে। তাই ঈদের দিন বাড়ি ফিরতে হয়। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এখন চলে যেতে হচ্ছে। এখন দোকানপাট খোলা শুরু করছে। এ কারণে চলে যাচ্ছি।’
বাবুর মতো আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা সবাই ঢাকা বিভিন্ন দোকানে চাকরি করেন।
আরেক যাত্রী মো. রফিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় রিকশা চালাই। তাই আমার কোনো ছুটি নাই। বাড়ি কয়দিন বেশি ছিলাম, এখন চলে যাচ্ছি।’
ভোলা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নৌযানগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে না পারে, সে জন্য তদারক করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের চাপ কমেছে। আগামী দু-এক দিন পর আরও কমে যাবে।’