Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ডিঙাপোতা হাওরে বাঁধে ভাঙন

মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

ডিঙাপোতা হাওরে বাঁধে ভাঙন

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙাপোতা হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ ‘চরহাইজদা’ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। তবে এতে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গাগলাজুর বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার উত্তরে হাইজদা বাঁধের বেশ কিছু ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করে।

বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) সাইদুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত, উপসহকারী প্রকৌশলী সোহাগ ফকির, কৃষি কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় অনেকে মনে করছেন মাছ শিকারিরা বাঁধটি কেটে দিয়েছে। কেউ কেউ দুর্বল বাঁধ তাই ভেঙেছে বলে মনে করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি গত দুটি বর্ষা ভালোভাবেই পার করেছে এই চর হাইজদা বাঁধ। দুই বছরে মাটি বসে গিয়ে মজবুত হয়েছে। এখন আর ভাঙার কথা নয়। বরং মাছ শিকারের জন্য বাঁধ কেটেছে দুর্বৃত্তরা।

মোহনগঞ্জ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘মাছ শিকারিরা রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দিয়ে বাঁধ ভাঙার কাজটি করিয়েছে। অবস্থা দেখে তাই মনে হচ্ছে। কারণ হাইজদা বাঁধটি ব্লক দিয়ে তৈরি করা। পানির চাপে ভাঙলে তো মাটির বাঁধ ভাঙতে পারত।

মোহনগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘হাওরে ধান কাটা শেষ। উচু জমির ৬০-৭০-হেক্টর জমির ধান কাটা বাকি আছে। পানিতে ধানের আর কোনো ক্ষতি হবে না।’

গাগলাজুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘মাঠে গরু চড়ায় দুজন ছেলের কাছ থেকে জানলাম বিকেলে (বুধবার) নাকি তাঁরা দেখেছে ব্লকের ফাঁক দিয়ে পানি চুঁইয়ে বের হচ্ছে। হয়তো সারা রাত পানি চুঁইয়ে ভোরে এক সময় ভেঙে গেছে বাঁধ।

হাওরের ফসল উঠে যাওয়ায় বাঁধের প্রতি আমাদের খেয়াল আগের মতো ছিল না। ফসলের ক্ষতি হবে না। তবে আর কয়দিন পর পানি আসলে এই সময়টা মাঠে গরু ঘাস খেতে পারত।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী সোহাগ ফকির বলেন, ‘মাটি ভর্তি বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধের ভাঙা অংশটি মেরামত করার চেষ্টা চলছে। সকাল থেকেই লোকজন কাজ করছে। ফসলের ক্ষতির শঙ্কা নেই। কারণ মাঠে এখন ধান নেই সব কাটা হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে পানির চাপ নেই। এই সময়ে ব্লক দিয়ে তৈরি করা স্থায়ী বাঁধ ভাঙা অসম্ভব। মাছ শিকারের জন্য রাতের আঁধারে কেউ কেটেছে। কয়দিন আগে খালিয়াজুরীতেও মাছের লোভে এক ব্যক্তি তার দলবল নিয়ে রাতের আঁধারে বাঁধ কেটে দিয়েছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, বাঁধ ভাঙলেও হাওরের ধান নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। সব ধান কাটা হয়ে গেছে। এদিকে বস্তা ফেলে বাঁধের ভাঙা অংশটি মেরামতে কাজ করছে পাউবো। এখনই ব্যবস্থা নিলে পরবর্তীতে মেরামতে ব্যয় কম হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ