ধর্ষণ মামলার বাদী বিধবাকে বিয়ে করার পর জামিন পেলেন কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল। গত বুধবার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিয়ের কাবিননামা দাখিলের পর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
জামিনে মুক্তির পরে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে মামলার বাদী ওই বিধবাকে বিয়ে করেন এসআই আব্দুল জলিল। তাঁদের বিয়েতে ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। বিয়েতে দুই পক্ষের আইনজীবী, পরিবারের সদস্য ও জলিলের প্রথম স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২০ মার্চ আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী বলেন, ‘আদালতে মামলা করার পর আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি আনন্দিত।’
২০২০ সালে জমিজমার বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই বিধবা। এর তদন্তে গিয়ে সেই সময়ে পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত আব্দুল জলিল ওই বিধবার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামা করিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। ওই নারী বিয়ের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। পরে তিনি ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।