ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ১ জুলাই। ১৯ বছর পর সম্মেলনের খবরে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে ত্রিশাল শাখা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এরই মধ্যে পদপ্রত্যাশীদের কর্মী, সমর্থকেরা যার যার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে সম্মেলন ঘিরে উপজেলায় উৎসবমুখর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা যায়, ২০০৩ সালে ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। এর দশ বছর পর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি দিয়েই ইতিমধ্যে পার হয়েছে আরও ৯ বছর।
এ অবস্থায় সাবেক কমিটির একটি অংশ দাবি করেছিল, তাদের কমিটিই পুনর্বহাল রেখেছে কেন্দ্র। এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর গ্রুপিং রাজনীতির কারণে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিল অনেক নেতা-কর্মীরা। টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগে নিয়মিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব দেখলেও দেড় যুগের বেশি সময় কোনো সম্মেলন না থাকায় হতাশায় ছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
দীর্ঘদিন পর হলেও সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনে যেন সাংগঠনিকভাবে দক্ষ, ত্যাগী ও দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিরা স্থান পায় সেই প্রত্যাশা তাঁদের। পাশাপাশি বিতর্কিতরা যেন কোনোভাবেই কমিটিতে না আসতে পারে সে দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
জানা গেছে, সভাপতি পদ প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান এমপি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম, সাবেক উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রমুখ।