দাকোপের পানখালী ইউনিয়নের বারুইখালী খালে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয় এলাকার হাজারো মানুষ। স্থানীয়রা কয়েক মাস পরপর নিজ খরচে সাঁকোটি মেরামত করে আসছেন। অন্তত ৩০ বছর ধরে এ ভোগান্তি সহ্য করে যাচ্ছেন খোনা ও সাতঘরিয়া গ্রামের মানুষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি আজও। এ বিষয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা মনে করেন, বারুইখালী খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে পালটে যাবে এলাকার দৃশ্যপট।
সরেজমিনে খোনা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, খামারবাড়ি-সংলগ্ন বারুইখালী খালের দুই পাশে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের একটি নড়বড়ে সাঁকো। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন গ্রামবাসী।
এলাকাবাসী বহুদিন ধরে সরকারি খরচে একটি সেতু নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু আজও সেতুর ব্যবস্থা হয়নি। স্থানীয়রা কয়েক মাস পর পর নিজ খরচে সাঁকোটি মেরামত করে আসছেন। প্রায় ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি যেন গ্রামবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে ওই খাল পেরিয়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অধিবাসীরা যাতায়াত করে আসছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মাঠের ফসল নিয়ে কৃষকেরা এ সাঁকো পার হয় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। এ ছাড়া মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের কাছে আনা-নেওয়ার সময় বিপাকে পড়তে হয় মানুষকে। তারা তাদের এই ভোগান্তি দূরীকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্প্রতি কথা হয় নারায়ণ বৈরাগী নামের ৮০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধের সঙ্গে। তিনি সাঁকো পার হওয়ার সময় জানান, আমাদের এই ভোগান্তি কেউ দেখতে আসেন না।