হোম > ছাপা সংস্করণ

‘বাউ মুরগি’তে আকৃষ্ট ক্রেতা, লাভের মুখে খামারি

হাবিবুর রনি, বাকৃবি

দেখতে হুবহু দেশি মুরগির মতোই। তবে বৃদ্ধির দিক থেকে ব্রয়লার বা বিদেশি কোনো জাতের থেকে কোনো অংশেই কম নয়। খামারে পালন করা হলেও স্বাদে-গুণে 
প্রায় দেশি মুরগির মতোই। এমন জাতের মুরগি উদ্ভাবন করেছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) দুজন গবেষক।

জাতটির নাম ‘বাউ মুরগি’। এই বাউ মুরগিই এবার ছড়িয়ে গেছে সারা দেশে। উদ্ভাবিত এই মুরগি পালন করে সফল হয়েছেন অনেক খামারি। বাকৃবি সূত্রে জানা গেছে, বাকৃবির পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী ও অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্যা দীর্ঘদিন গবেষণা করে ‘বাউ ব্রো মুরগি বা বাউ মুরগি’ নাম দিয়ে নতুন জাতের দুটি স্টেইন বা জাত উদ্ভাবন করেন। উদ্ভাবিত জাত দুটির নাম রাখা হয়েছিল ‘বাউ সাদা’ আর ‘বাউ রঙিন’। অর্থাৎ, একটি মুরগি সাদা রঙের হয়ে থাকে, আরেকটি রঙিন। সাদা বাউয়ের মাংস প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির চেয়ে একটু শক্ত। তবে রঙিন জাতটির স্বাদ একেবারে দেশি মুরগির মতো। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) এসপিজিআর প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত ‘দেশে প্রাপ্ত মুরগির জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লারের প্যারেন্ট স্টক উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৪ সালে গবেষণা শেষে জাত দুটি উদ্ভাবনে সফলতা পেয়েছিলেন গবেষকেরা।

মাত্র ৪০-৪২ দিনে বাউ মুরগির ওজন এক কেজি ছাড়িয়ে যায়। দেশের অন্য এলাকার মতো সিরাজগঞ্জেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই মুরগি। এই জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার আঙ্গারু গ্রামের খামারিদের কাছে নতুন আস্থার জায়গা তৈরি করেছে নতুন জাতের এই মুরগি। শুধু আঙ্গারু গ্রামেই ৩০টির বেশি খামারে পালন করা হচ্ছে বাউ মুরগি।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার আঙ্গারু গ্রামের বাউ মুরগির খামারি শাহিদা খাতুন বলেন, ‘পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে ও মানব মুক্তি সংস্থার সহযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি মুরগি নিয়েছিলাম। এ মুরগি পালন করে মাত্র ৪৫ দিনেই ওজন প্রায় ১ কেজি ৩০০ গ্রাম হয়েছে; যা বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। দেশি মুরগির মতো হওয়ায় বাজারে এর অনেক চাহিদা।’

আঙ্গারু গ্রামের আরেক খামারি আম্বিয়া খাতুন বলেন, ‘বাউ মুরগি পালনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। রোগবালাই নেই বললেই চলে। এ মুরগি পালনে সুবিধা হলো, দেশি মুরগির তুলনায় অল্প দিনে বাজারজাত করা যায়।’

উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘বাউ মুরগি পালন করে উপজেলায় অনেকেই লাভের মুখ দেখেছেন। ব্রয়লার মুরগি অনেকের কাছেই অপছন্দের, সেখানে বাউ মুরগি পছন্দের জাত হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এই মুরগিতে রোগবালাই খুবই কম। এই জাতটির সম্প্রসারণে কাজ করে যাব।’

বাউ মুরগির উদ্ভাবকদের একজন অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, ‘খেতে সুস্বাদু, মৃত্যুহার কম ও উৎপাদন বেশি হওয়ার কারণেই খামারি ও ভোক্তা পর্যায়ে এই মুরগির চাহিদাও অনেক। আমরাও চেয়েছি এই জাতটি যেন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য শুরুর দিকে বিনা মূল্যেও বাউ মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করেছিলাম। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই মুরগি লালনপালনের জন্য খামারিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের বিষয়টি অব্যাহত রয়েছে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন