ফুটবলপ্রেমীদের চোখ এখন কাতারে। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর শুরুর অপেক্ষার ক্ষণ গুনছে সবাই। কাতারের উত্তরের ৫০ কিলোমিটার দূরের শহর আল খোরও প্রস্তুত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ আয়োজনের জন্য। আজ শহরটির আল বাইত স্টেডিয়ামে কাতার বনাম ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে বাজবে বিশ্বকাপের বাঁশি।
স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে সবার আগে ২০২২ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলছে কাতার। আর প্লে-অফ খেলে সবার শেষে মূল মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে ইকুয়েডর। অতীতে খুব একটা দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ ঘটেনি তাদের। যে তিনটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে তাতে জয়-পরাজয়ও সমান। এমনকি ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও বেশ কাছাকাছি দুই দল। প্রথম ম্যাচেই দর্শকেরা উপভোগ করতে পারেন সম-লড়াইয়ের এক ম্যাচ।ঘরের দল কাতারকে সমর্থন জানাতে স্বাভাবিকভাবে প্রস্তুত হয়ে আসবে দেশটির সমর্থকেরা।
অচেনা পরিবেশে শুরুতেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ, স্বাভাবিকভাবে চাপে থাকবে ইকুয়েডর। তবে সেই চাপ সামলে নিজেদের খেলাটা খেলতে চান মইজেজ কাইসেদো। গতকাল কাতারের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে কোচ গুস্তাভো আলফারোকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ইকুয়েডরের অধিনায়ক। মাঠে নিজেদের পরিচয় দিতে চাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ব্রাইটনের এই মিডফিল্ডার, ‘বিশ্বকাপে সবার চোখ থাকবে আমাদের ওপরে এবং মাঠেই দেখাতে চাই আমরা কেমন দল।’
এমন সবসমালোচনা ও বাহবার মিশ্র অনুভূতি নিয়ে মাঠে নামবে কাতার। উদ্বোধনী দিনে স্টেডিয়াম থেকে সমর্থকেরা যাতে হাসিমুখে ঘরে ফিরতে পারে সেই ব্যবস্থাই করতে চাইবে তারা। তবে কাতারের অধিনায়ক হাসান আল হায়ডোসের কথা শুনলে মনে হবে, আপাতত তারা বড় নামগুলোর সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলতে পেরেই খুশি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আল-সাদের এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমার ভেতরে যা অনুভব করছি তা অবিশ্বাস্য। এটা বর্ণনা করা যাবে না। আমি খুবই খুশি এবং গর্বিত যে বড় নামগুলোর সঙ্গে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পেরে।’
হাসান খুশি হবেন নাই-বা কেন! প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে কত আয়োজন তাদের। যেখানে ইকুয়েডরের এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ।