নেত্রকোনার মদনে মাছ ধরতে বাঁধ কেটে দিয়েছেন প্রভাবশালীরা। এতে হাওরের পানি শুকিয়ে বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পাঁচ হাজার একরে বোরো ফসল আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েচেন চার শতাধিক কৃষক।
কৃষকেরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে—এতে সেচ দিয়ে বোরো ধান চাষ করে লাভবান হওয়া যাবে না। উল্টো লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষকেরা যাতে বোরো আবাদে কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক ফসলি বোরো জমির উৎপাদিত ফসল দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা।
হাওরের বোরো জমিতে আবাদের জন্য বর্ষার পানি সংরক্ষণ করে রাখেন ওই এলাকার কৃষকেরা। এ বছর মাঘান ইউনিয়নের কলাগাছিয়া হাওরের মাছ ধরতে খালের বাঁধ কেটে দেন মাঘান গ্রামের মাহাবুব মেম্বার, আবদুল গণি, আমির হামজা, ইয়াকুল, গাজী রহমান, তরিকুল ইসলাম, সাইদুর মেম্বারসহ প্রভাবশালীরা। মাছ ধরার জন্য তাঁরা হাওর শুকিয়ে ফেলেছেন। ফলে হাওরের পাঁচ হাজার একর বোরো জমি শুকিয়ে যায়। এতে এ বছর শুরুতেই বোরো জমি রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েন হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা। এ ঘটনা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম খান মাসুদকে জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ কৃষকদের।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম খান মাসুদ বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মাছ ধরার জন্য হাওরের পানি শুকিয়ে নেওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সেচ না দিয়ে এখন বোরো আবাদ করা সম্ভব হবে না।’