লক্ষ্মীপুর সদরের রাজীবপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার শিকার গৃহবধূ নূপুর আক্তার (২৭) জানান, তিনি সদর উপজেলার আবির নগর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছোট মেয়ে। প্রায় সাত বছর আগে রাজীবপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে অটোরিকশাচালক মো. সুজনের (৩৩) সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কারণে-অকারণে তাঁকে মারধর করেন স্বামী ও শাশুড়ি। তাঁদের সংসারে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
নূপুর আক্তার আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তুচ্ছ ঘটনায় শাশুড়ি শুকরি বেগমের (৫৫) সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাশুড়ি তাঁর চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারেন। পরে তাঁকে মারধর করেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর স্বামী বাড়ি এলে তিনি তাঁকে বিষয়টি জানান। কিন্তু সুজনও স্ত্রীর কথা না শুনে রেগে গিয়ে তাঁকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে গৃহবধূর দুই ভাই জহির উদ্দিন ও ইসমাইল মিয়া গিয়ে বোনকে উদ্ধার করেন। এর আগে স্থানীয়রা ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য দুই ভাইয়ের মাধ্যমে হাসপাতালে পাঠায়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ৯৯৯-এ কল পেয়ে নির্যাতিত গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ যাওয়ার আগেই মা ও ছেলে পালিয়ে যায়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।