শীতের শুরুতে বাজারে সবজির দাম না কমলেও সম্প্রতি কমতে শুরু করেছে। তবে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ডিম, মাংস ও মাছের বাজারে দরদামে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়নি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার, রায়েরবাজার, রামপুরা বাজার ও মিরপুরের কচুক্ষেত বাজারে গতকাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। গত সপ্তাহে এই মরিচের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। মোহাম্মদপুর বাজারে আসা গৃহিণী সুমাইয়া তাবাসসুম বলেন, ‘কাঁচা মরিচ খুব কম কেনা হয়, আজ (গতকাল) বাজারে এসে দেখছি দামটা বেশ বেড়েছে। তবে শীতের সবজিগুলো এখন কিছুটা কমে কিনতে পারছি, এটাই স্বস্তি।’
কাঁচা মরিচের মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা রাজ্জাক মিয়া বলেন, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে আমাদের ১২-১৪ টাকা বেশি দরে কাঁচা মরিচ কেনা লাগতেছে। আমরা কম দামে কিনতে না পারলে বেচমু কেমনে? বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ এখন কম। তাই দাম বাড়তি।’
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে শীতের বেশির ভাগ সবজি ২০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলু, বেগুন, কাঁচা টমেটো, শালগম, মুলা, পটোল এই দামেই বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ২০-৩০ টাকা এবং শিম (জাতভেদে) ১৮-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে পাকা টমেটো, শসা ও গাজরের দাম কিছুটা বেশি। জাতভেদে পাকা টমেটো ৭০-৯০ টাকা, শসা ৫০-৭০ টাকা এবং গাজর ৬০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা দরে।
ডিম এবং মাংসের বাজারে দরদামে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১১২-১২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। শীতের মৌসুমে হাঁসের চাহিদা বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। জাত ও আকারভেদে হাঁস ৪০০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কচুক্ষেত বাজারের বিক্রেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘শীতের মধ্যে হাঁস একটু বেশি বিক্রি হয়। সারা বছর এর তেমন বিক্রি থাকে না। এই সময় ভালোই চাহিদা আছে। গ্রাম থেকে হাঁস আইনা আমি বিক্রি করি। দিনে ১০-১২টা তো বিক্রি হয়ই।’
গরুর মাংস আগের মতোই কেজিপ্রতি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা এবং খাসি ৮৮০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মাছের দরদামেও বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। ইলিশ আকারভেদে ৬০০-১৪০০ টাকা, রুই ২৫০-৪০০ টাকা, শিং ৩০০-৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, চিংড়ি জাতভেদে ৭০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।