রাজশাহী প্রতিনিধি
পদ্মাপাড়ে আয়োজন করা হয়েছে ঘুড়ি উৎসব। বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে উদ্বোধন করলেন অতিথিরা। তারপরই আয়োজকদের কাছ থেকে ঘুড়ি নিতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল। তারপর কে কার ঘুড়ির ওপরে নিজের ঘুড়ি পাঠাবেন, তা নিয়ে শুরু হলো প্রতিযোগিতা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ এলাকায় পদ্মাপাড়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। ৫০টি যুব সংগঠন একত্রে এই আয়োজন করে। উৎসবের জন্য তারা নানা রঙের ও রকমের ৩০০টি ঘুড়ি আনেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পর শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী এমনকি বয়োজ্যেষ্ঠরাও নাটাই ধরে ঘুড়ি ওড়াতে শুরু করেন। ফিরে যান শৈশবের স্মৃতিতে।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি নিজেই ঘুড়ি ওড়ান কিছুক্ষণ। ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, ফানুস ওড়ানো, আতশবাজি পোড়ানো এবং কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় ৫০টি ফানুস ওড়ানো হয় আকাশে। আতশবাজিও পোড়ানো হয় ৫০ টি।
আয়োজকেরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেন। সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা পেয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, শহীদ মামুন মাহমুদ (মরণোত্তর), নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, নি·ন// গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানুল ইসলাম তারেক, ফ্লিট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এবং নারী উদ্যোক্তা নিলুফা ইয়াসমিন।
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এর আগে গম্ভীরার মাধ্যমে জানানো হয় সম্মাননাপ্রাপ্তরা সমাজে কী ধরনের অবদান রেখেছেন।