সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে জ্বালানি তেলের সংকট কাটছেই না। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় টেনেটুনে চলছে পেট্রলপাম্পগুলো। মূলত তেলবাহী ওয়াগনের ওপরেই নির্ভর করছে সিলেটে জ্বালানি তেলের সরবরাহ। এখানকার গ্যাসফিল্ডগুলোর খনি থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন বন্ধ রাখায় সংকট কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। দ্রুত এই জ্বালানি তেলে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন পেট্রলপাম্পের মালিকেরা।
সিলেটের পেট্রলপাম্প মালিকদের সংগঠন সিলেট বিভাগ পেট্রল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, সিলেট বিভাগের চার জেলায় পেট্রলপাম্প রয়েছে ১১৪টি। এর মধ্যে মহানগরে রয়েছে ৪৫টি এবং জেলায় রয়েছে ৭০টি। এসব পাম্পে পেট্রল, অকটেন ও ডিজেলের দৈনিক চাহিদা রয়েছে ১০ লাখ লিটারের বেশি। তবে সরবরাহ রয়েছে গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ লিটার। সংকট থেকে যাচ্ছে ৭ লাখ লিটার।
পেট্রলপাম্প মালিকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের সংকট কোনোভাবেই মেটানো যাচ্ছে না। সরবরাহ না বাড়ালে একটা সময় অনেক পাম্পই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সংকট কাটাতে অনেকটা বাধ্য হয়েই আশপাশের বিভিন্ন পাম্প থেকে টেনেটুনে জ্বালানি তেল বাড়তি আনতে হচ্ছে। বর্তমানে সিলেটে অকটেন ও ডিজেলের অনেক বেশি সংকট রয়েছে। মূলত রেলের ওয়াগন ঠিকমতো না আসাতেই এই সংকট বেড়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিলেটে জ্বালানি তেলের সংকট কোনোভাবেই কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। মূলত সিলেটের গ্যাস ফিল্ডগুলোর খনি থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন বন্ধ থাকাতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে রেলের ওয়াগনের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল সিলেটের পেট্রল পাম্পগুলো। চাহিদার প্রায় তিনগুণ জ্বালানি তেলের সংকট রয়েছে সিলেটে।
এদিকে, জ্বালানি তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতসহ ছয় দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে সিলেট বিভাগ সিএনজি গ্যাস ফিলিং স্টেশন, পেট্রল পাম্প এলপিজি, ট্যাংকলরি, মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ছয় দফা দাবি তোলে সিলেট বিভাগ সিএনজি গ্যাস ফিলিং স্টেশন, পেট্রল পাম্প এলপিজি, ট্যাংকলরি, মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান পরিষদের দাবিগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন।