হোম > ছাপা সংস্করণ

ফাইনালের নবাব সিরাজ

রানা আব্বাস, কলম্বো থেকে

ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্বপ্নের শুরু, স্বপ্নের বোলিং কাকে বলে, সেটির প্রামাণ্যচিত্র হিসেবে মোহাম্মদ সিরাজের কালকের ওই এক স্পেলে করা ৭ ওভার দেখানো যেতে পারে। শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে ধ্বংসযজ্ঞের ‘শৈল্পিক’ রূপটাই যেন দেখালেন সিরাজ।

নিজের দ্বিতীয় ওভার থেকেই বিধ্বংসী হয়ে ওঠা সিরাজকে থামানোর আর উপায় ছিল না লঙ্কানদের! প্রেমাদাসায় উইকেটের মুভমেন্ট কাজে লাগিয়ে কী বোলিংটাই না করলেন ২৯ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার! আর তাতে কত রেকর্ড যে এক দিনে ওলটপালট হলো। উইকেট শিকারের নেশায় মেতে ওঠা সিরাজ এগোচ্ছিলেন আরও অনেক রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার লক্ষ্যে।

১১.২ ওভারে ৩৩ রান তুলতেই শ্রীলঙ্কা যে ৭ উইকেট হারাল, এর ৬টিই সিরাজের। এর মধ্যে চতুর্থ ওভারেই নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক স্পেলে টানা ৭ ওভার করিয়ে রোহিত শর্মা আর আক্রমণে আনেননি সিরাজকে। বাকি ৩ ওভার কেন বোলিং করাননি, সেটির ব্যাখ্যায় ভারতীয় অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘আমি তাকে করাতেই চেয়েছিলাম। কিন্তু ট্রেনারের বার্তা ছিল ওকে থামানোর। সে মরিয়া ছিল করতে। এটাই একজন ব্যাটার বা বোলারের স্বভাব, সুযোগ দুই হাত ভরে কাজে লাগাবে। আমার যে কাজ ছিল, সেটাই করেছি। মনে হয়েছিল ৭ ওভারই যথেষ্ট।’

যা হয়েছে, সিরাজ তাতেই অনেক খুশি। ইনিংস বিরতিতে সম্প্রচারকারী টেলিভিশনকে বলছিলেন, ‘স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।’ স্বপ্নের মতো মনে হওয়াই স্বাভাবিক। ওয়ানডেতে যার আগে কখনোই ৫ উইকেট ছিল না, তিনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন কাল।

শিকারের পর রোনালদোর ‘সিউউ’ উদ্‌যাপনেও দেখা গেছে তাঁকে। গত জানুয়ারিতে থিরুভানাথাপুরামে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই শুরু থেকে ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছিলেন সিরাজ। পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট পাওয়ার পর পরবর্তীকালে ১০ ওভার বোলিং করেও আরেকটি উইকেট মেলেনি তাঁর।

গতকাল সবই পেলেন। তাতে ৯ মাস আগের আফসোসও গেল সিরাজের, ‘এর আগেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমনটা হয়েছিল (অসাধারণ শুরু) দ্রুতই ৪ উইকেট পেয়ে গেলাম। কিন্তু ৫ উইকেট আর পাইনি। বুঝলাম, কপালে যা থাকবে, আপনার সেটাই ঘটবে।’

দুদিন আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্রামে ছিলেন। ফাইনালের আগে বিশ্রাম পেয়ে আরও সতেজ হয়ে পূর্ণ শক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন লঙ্কানদের ওপর। কাল তাঁর ওপর কী ভর করেছিল যে শ্রীলঙ্কাকে স্রেফ উড়িয়ে দিলেন! সিরাজ বললেন, ‘খুব বেশি কিছু করিনি। সাদা বলের ক্রিকেটে সব সময়ই সুইং চাই। আগের ম্যাচে খুব বেশি পাইনি। তবে আজ (কাল) সুইং করছিল। আউটসুইংয়ে বেশি উইকেট পেয়েছি। চেয়েছি ওদের ব্যাটারদের বেশি ড্রাইভ খেলাতে।’

সিরাজের গতকাল ৭২ শতাংশ বল লেন্থে থাকলেও বেশির ভাগ উইকেট তিনি পেয়েছেন ওপরে করে। ব্যাটারদের ড্রাইভ খেলাতে প্রলুব্ধ করেছেন, আর সেই ফাঁদে পা দিয়েছেন লঙ্কানরা। রোহিতকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল সিরাজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে। ভারতীয় অধিনায়ক অবশ্য প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ভুল ধরতে আগ্রহী নন।

তিনি বরং বললেন, ‘আমি ওদের ব্যাটিং নয়, উইকেট দেখে বেশি অবাক হয়েছি। তারা কীভাবে ব্যাটিং করেছে, সেটা নিয়ে বলতে পারব না। তবে আমার ফাস্ট বোলারদের বোলিং স্লিপ থেকে দেখাটা অনেক তৃপ্তিদায়ক ছিল। বাকি দুই ফাস্ট বোলারের তুলনায় সিরাজ একটু বেশি মুভমেন্ট পেয়েছে। আসলে একজনই প্রতিদিন নায়ক হয় না। একেক দিন একজন নায়ক হয়, এটা খেলার সৌন্দর্য।’

গতকাল সেই নায়ক হলেন সিরাজ। যাঁর ডানায় চড়ে বহুল আলোচিত ২০২৩ এশিয়া কাপ জিতে ফিরেছে ভারত।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন