কয়রায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নিহত ছায়েরা খাতুনের বোন জুলেখা খাতুন বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডের ১৪ দিন পর কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। গত ১২ মে দায়ের করা এ মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়। গতকাল রোববার মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, নিহতের স্বামী ইসমাইল সরদার, তার ভাই কামরুল সরদার, ভাইপো বিল্লাল সরদার ও প্রথম স্ত্রীর ছেলে খানজান সরদার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার তরফদার। নিহত ছায়ের খাতুন মহেশ্বরীপুর গ্রামের মোক্তার সরদারের বড় মেয়ে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের তিন সন্তানের জননী ছায়েরা খাতুন (৫০) কে তার স্বামী ইসমাইল সরদারসহ চারজন গত ২৮ এপ্রিল সকালের দিকে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আত্মহত্যার অভিযোগ তোলে। বিষয়টি কয়রা থানা-পুলিশ জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে ছায়েরা খাতুনের লাশ স্বামী গ্রহণ করে নিজ বাড়িতে দাপন না করায় মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ছায়েরা খাতুনের আত্মীয়স্বজন জানতে পারে আত্মহত্যা নয়, সীমানা পিলার নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ছায়েরা খাতুনের চাচাতো ভাই ডালিম হোসেন বলেন, ছায়েরা খাতুন ইসামাইলের ২য় স্ত্রী। বাড়িতে একটি সীমানা পিলার পাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ছায়ের খাতুনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা চলে। এই ঘটনায় প্রায় সময় দুজনের মধ্য ঝগড়া চলতে থাকে। নিরুপায় হয়ে ঘটনার আগে ছায়েরা খাতুন ১৮ দিন তার বোনের বাড়িতে অবস্থান করে। সেখান থেকে গত ২৬ এপ্রিল ইসমাইল তার স্ত্রীকে অভিমান ভাঙিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।
মামলার বাদী জুলেখা খাতুন বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করেনি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম এস দোহা বলেন, আদালতের আদেশ এখনো পাইনি। হাতে পেলে আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।