কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরশহরের বিভিন্ন জায়গায় বসতে শুরু করেছে শীতের পিঠার দোকান। অগ্রহায়ণ যতই শেষের দিকে এগোচ্ছে গ্রামাঞ্চলে সকালে কুয়াশার প্রলেপও গাঢ় হচ্ছে। প্রতিটি নতুন সকাল জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। হোসেনপুরে সবাই এখনো শীতের জামা গায়ে না জড়ালেও, ইতিমধ্যে অনেকেই স্বাদ নিয়েছেন শীতের পিঠার।
সরেজমিনে পৌর শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় দেখা যায়, দোকানি পিঠা তৈরি করছেন আর পিঠা খেতে ভিড় করছেন শিশু, কিশোরসহ সকল শ্রেণির মানুষ। তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, তেল পিঠা, গুলগুলি পিঠা, ডুবা পিঠা, মাছের পিঠা, ঝাল পিঠা, সবজি পিঠাসহ হরেক রকমের বাহারি পিঠা।
হোসেনপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর শীতের আমেজে দাঁড়িয়ে পিঠা খেতে দারুণ ভালো লাগে। পিঠা আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য।’
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা লালমিয়া বলেন, ‘আগের মত আর পিঠার স্বাদ পাই না। আগে আত্মীয়স্বজন নিয়ে মজা করে বাড়িতে পিঠা তৈরি করে আনন্দের সঙ্গে সবাই মিলে খেতাম। এখন হাটবাজারে সকালে ও বিকেলে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করা হয়। অনেকেই এখন বাড়িতে পিঠা তৈরি করে না। ফুটপাথের দোকান থেকে কিনে খান।’
হোসেনপুর বাজারের আরেক পিঠা বিক্রেতা রেনু বলেন, ‘শীত আসলেই প্রতিবছরে সকালে ও বিকেলে পিঠা বিক্রি করি। বেচাবিক্রি খুব ভালো হয়। চাল ও জ্বালানি খরচ বাদে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ থেকে ১০০ টাকা লাভ হয়।