খায়রুল বাসার নির্ঝর
অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’র পর এটা কি ওয়েবে আপনার দ্বিতীয় কাজ?
মুন্সিগিরি ছিল আমার প্রথম ওয়েব ফিল্ম। মাঝে আমি দুটো ওয়েব সিরিজও করেছি—একটার নাম ‘বিলাপ’, আরেকটা ‘টেক্কা’। তারপর ওয়েবে আমার আর কাজ করা হয়নি। ফাইনালি এখন এই ওয়েব ফিল্মটা (দাফন) করছি। এটা শেষ হওয়ার পর আগামী এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যে আরেকটা ওয়েব ফিল্মের কাজ শুরু করব। শিগগিরই সেটা সবাই জানতে পারবেন।
মাস দুয়েক আপনি কোনো নতুন কাজে যুক্ত হননি। বিশেষ কোনো কারণ ছিল?
‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ আর ‘মা বাবা ভাই বোন’—এই দুইটা সিরিয়ালে কিছুটা সময় দিচ্ছিলাম। এ ছাড়া আর কোনো শুটিং করিনি। কারণ আমার একটু পড়ার চাপ ছিল। তা ছাড়া বেশ অসুস্থ ছিলাম মাঝখানে। তাই দুই মাসের একটা গ্যাপ পড়েছে। ২৬ আগস্ট আমার সেমিস্টার ফাইনাল শেষ হলো। এখন ব্যাক টু ব্যাক দুটো ফিল্মের কাজ করব।
এই বিরতিতে কি নতুন কোনো উপলব্ধি হলো?
আমি আগে যেমন অনেক কাজ করতাম, এখন আর ওভাবে করতে চাই না। টানা কাজ করলে যেটা হয়, কাজের মান খারাপ হয়। আর হরমোনাল কিছু সমস্যার কারণে আমি যদি টানা কাজ করি বা ওয়ার্কআউট না করি, আমার শারীরিক কিছু সমস্যা হয়। ওজন বাড়তে থাকে, নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এ জন্য এখন কম কাজ করতে চাই। কিন্তু যেটা করব, সেটা যেন মানসম্মত হয়। আর মাস্টার্সের রেজাল্টটা এখনো বেশ ভালো আছে। শেষ পর্যন্ত ওটা যেন ধরে রাখতে পারি, সে চেষ্টা করছি।
পড়াশোনাটা তাহলে শেষ হচ্ছে…
অনেক দিন ধরেই আম্মা জোরাজুরি করছিলেন মাস্টার্সটা শেষ করার জন্য। আমিও করব করব ভাবছিলাম। কিন্তু শুটিংয়ের প্রেসার, এরপর করোনা, আমার ব্যক্তিগত জীবনেও তো অনেক ওঠাপড়া ছিল—সব মিলিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। একসময় মনে হলো মাস্টার্সটা শেষ করেই ফেলি।
‘দাফন’-এর প্রথম দিনের শুটিং কেমন উপভোগ করলেন?
সেটে এসে খুব ফ্রেশ লাগছিল। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, এ ফিল্মে আমার সহ-অভিনেত্রী রুনা খান। আমার অনেক কাছের মানুষ তিনি। শুটিংয়ের পুরো সময় ভীষণ এনজয় করেছি।
ব্যাপারটা এখনো একটু কমপ্লিকেটেড সব মিলিয়ে। এত বড় বড় ধাক্কা আমার ওপর দিয়ে গেল লাস্ট কয়েক বছরে। আমার মনে হয়, দিন শেষে কাজটাই আমাকে স্বস্তি দেয়। সে কারণে কাজেই মনোযোগী হয়েছি
সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও কি বিরতি নিয়েছেন?
আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটা বন্ধ করে দিয়েছি। শুধু পেজটা চালাচ্ছি। আমি ফেসবুকে হয়তো কিছু লিখলাম, সেটা হয়তো নরমাল বা ফানি কিছু, ওটাকে জড়িয়ে বিভিন্ন পোর্টালে নিউজ হওয়া শুরু হয়। এতে আমার কিছু যায়-আসে না। কিন্তু আমার ফ্যামিলির কেউ তো মিডিয়া রিলেটেড না। তাঁরা সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনায় তাঁরা খুবই বিব্রত হন। তাই ভাবলাম, কী দরকার! অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে আমি নিজেও এখন সম্পূর্ণ ফ্রি। কোনো টেনশন নেই।