Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ঘাটে থাকা স্পিডবোট এখন গলার কাঁটা

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

ঘাটে থাকা স্পিডবোট এখন গলার কাঁটা

একসময় দ্রুতগতির নৌযান হিসেবে পরিচিত ও জনপ্রিয় স্পিডবোট এখন অনেকটাই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মালিকদের। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কিছু স্পিডবোট বিক্রি হলেও শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটের অর্ধশতাধিক স্পিডবোট এখনো বিক্রি করতে পারেননি মালিকেরা।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুট বন্ধ হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ কোনো নদীপথ কাছাকাছি না থাকায় এ অঞ্চলের স্পিডবোট মালিকেরা বেশ কিছু বোট বিক্রি করে দিয়েছেন। দাম বেশি থাকায় বর্তমানে স্পিডবোট কেউ কিনতেও চাচ্ছেন না।

জানা গেছে, ৪০ সিসি ইঞ্জিনের স্পিডবোটের দাম সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখের মধ্যে, ৭৫ সিসি ইঞ্জিনের বোটের দাম ৮ লাখ টাকার মতো এবং ২০০ সিসির স্পিডবোট বিক্রি হয় ১৪ লাখ টাকায়। এসব স্পিডবোটের মধ্যে বাংলাবাজার ঘাটের ৪০ সিসি ও ৭৫ সিসির কিছু বোট অর্ধেক দামে বিক্রি করতে পেরেছেন মালিকেরা। বাকিগুলো পড়ে আছে। তা ছাড়া ৭৫ ও ২০০ সিসির বোট অর্ধেক দামেও কিনতে চান না কেউ। বাংলাবাজার ঘাটে পড়ে থাকা কিছু স্পিডবোটের ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকায় বিক্রি হয়নি।

ঘাটসংশ্লিষ্টরা জানান, একসময়ের ব্যস্ততম ঘাটটি এখন জনমানবশূন্য। নৌ-রুটে থাকা ৮৭টি লঞ্চের বেশির ভাগই দেশের অন্য এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। লঞ্চ ও ফেরিঘাটের পন্টুন আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুটে সর্বশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত দেড় শতাধিক স্পিডবোট ছিল। পদ্মা সেতু চালুর পর শিমুলিয়া প্রান্তের স্পিডবোটগুলোর বেশির ভাগই বিক্রি করে দিয়েছেন মালিকেরা। বাংলাবাজার ঘাটের কিছু বোট বিক্রি করে দিলেও অর্ধশত স্পিডবোট এখনো রয়ে গেছে।

মো. আবুল হোসেন নামের স্থানীয় এক স্পিডবোট চালক বলেন, ‘সেতু চালুর পর ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের কিছু বোট বিক্রি করা হয়েছে। কিছু বোটের শুধু ইঞ্জিন বিক্রির পর বডি রয়ে গেছে। প্রায় দুই ডজন স্পিডবোট এখনো ঘাটে রয়েছে। ঘাটের এক পাশে বেঁধে রাখা হয়েছে বোটগুলো। ক্রেতা পেলেই বিক্রি করে দেওয়া হবে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অনেক স্পিডবোট চালক ঢাকা চলে গেছেন। কেউ রঙের কাজ করেন ঢাকায়। গ্রামে অনেকে ইজিবাইক চালান। কেউ ব্যবসা করেন।

বাংলাবাজার লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুটে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করত। বাংলাবাজার, কাঁঠালবাড়ী এলাকার অনেকেরই লঞ্চের ব্যবসায় রয়েছে। একটি লঞ্চ ঘিরে মালিকসহ  পাঁচ-ছয় জনের জীবিকা নির্ভর করত। লঞ্চ বন্ধের পর শ্রমিকেরা বিপাকে পড়ে যান। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দেশের বিভিন্ন নৌ-রুটে এই ঘাটের কিছু কিছু লঞ্চ স্থানান্তর করা হয়েছে।বাকি লঞ্চও অন্যত্র চালানোর চেষ্টা চলছে।

বাংলাবাজার ঘাট স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, সেতু চালুর পর স্বাভাবিকভাবেই ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটে শতাধিক স্পিডবোট ছিল। বেশ কিছু বিক্রি হয়ে গেছে। কিছু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঘাটে পড়ে আছে। এ ছাড়া বেশ কিছু বোট বিক্রি হয়নি। বিক্রির চেষ্টা করছেন মালিকেরা। সেগুলো ঘাটেই বেঁধে রাখা হয়েছে। ক্রেতা পেলে বিক্রি করা হবে সেগুলো। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি