দেখতে দৈত্যকায় গরুটির ডাকনাম বুলডোজার। পরম যত্নে লালনপালন এবং বড় করেছেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বামুয়াহাটি গ্রামের শাহ শিবলী সাদিক। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরুটি লালনপালন করেছেন। কোনো ধরনের ওষুধ বা ইনজেকশন প্রয়োগ করেননি। সাদিকের আশা, আসছে কোরবানির বাজারে এবার বড় গরুর তালিকায় তাঁর গরুটি প্রথম সারিতে থাকবে। ভালো দামে বিক্রির আশা করছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বামুয়াহাটি গ্রামের শাহ শিবলী সাদিকের বাড়িতেই বড় হয়েছে হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরু। এটির উচ্চতা ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট, আর ওজন সাড়ে ২২ মণ বা ৯০০ কেজি। গরুর মালিক শাহ শিবলী সাদিক পেশায় কৃত্রিম প্রজননকর্মী। তিনি গরুটির দাম হাঁকছেন আট লাখ টাকা।
কথা হলো গরুর মালিক শাহ শিবলী সাদিকের সঙ্গে। তিনি জানান, আড়াই বছর ধরে তিনি বুলডোজারকে বিশেষ যত্নে লালনপালন করেছেন। প্রতিদিন গরুটির পেছনে খরচ হচ্ছে হাজার টাকার বেশি।
শাহ শিবলী সাদিক দাবি করেন, নবাবগঞ্জ উপজেলায় এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় গরু তাঁর বুলডোজার। এর আগে এত বড় গরু তিনি উপজেলার কোথাও দেখেননি বলে জানান। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ গরুটি দেখতে সাদিকের বাড়িতে ভিড় করছেন।
সাদিক জানান, নয় মাস বয়সী বাছুরটি তিনি কেনেন দোহারের শিলাকোঠা বাজার থেকে। দানাদার খাদ্য হিসেবে খৈল, ভুসি, চিটাগুড়, ভেজানো চাল, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও চালের কুঁড়া মিলিয়ে দিনে দুবার ১০ থেকে ১২ কেজি করে খাবার খাওয়ানো হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফারহানা জাহান বলেন, ‘কোরবানির ঈদ সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছরই গরু লালনপালন করে থাকেন খামারিরা। পাশাপাশি প্রান্তিক কৃষকেরাও বাড়িতে দু-চারটা করে গরু পালেন। বেশি ওজনের ষাঁড় লালনপালন করে আলোচিত হয়ে আসছেন অনেকেই। খামারিদের কিছুদিন আগেও তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়।’