নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যহার পুনর্নির্ধারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) আবেদনের ওপর আজ আদেশ দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গতকাল রোববার বিইআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে বিইআরসি এমন একসময় সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছে, যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশে বিদ্যুতের ওপর দেওয়া ভর্তুকি উঠিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। সম্প্রতি আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল বিইআরসি ঘুরে গিয়ে বিদ্যুতের ওপর কত ভর্তুকি দেওয়া হয়, ভর্তুকি উঠিয়ে দিলে জনজীবনে এর প্রভাব কেমন পড়বে, তা জানতে চেয়েছে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বিপিডির আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল বিইআরসি। অসম্পূর্ণ আবেদন, তথ্যের অস্পষ্টতা ও ভোক্তা পর্যায়ে বাড়তি দামের প্রভাবের বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য না থাকায় তখন আবেদনটি খারিজ করা হয়। সেই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিপিডিবি আবেদন করতে পারবে বলেও জানায় কমিশন।
সে অনুযায়ী ৩০ কর্মদিবস শেষে চলতি মাসের ১৩ তারিখে বিদ্যুতের দাম পুনর্নির্ধারণের জন্য আবার আবেদন করে বিপিডিবি। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে বিইআরসি।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা দাম একসঙ্গে বাড়ায়। তখন প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সরবরাহের দাম ৫ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও পাইকারি দাম ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১১ বার।