যশোরের মনিরামপুরে করোনার টিকা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলার ৪০৮টি সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে করোনার টিকা।
নিবন্ধন না করেও জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে এসব কেন্দ্রে গেলে টিকা নেওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, যাঁদের কোনো কাগজপত্র নেই, তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে গেলেও টিকা নিতে পারবেন।
তবে প্রতিদিন সবগুলো কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে না। সূচি অনুযায়ী এসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার গ্রামে পর্যায়ে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। সপ্তাহে দুই দিন স্বাস্থ্য সহকারীরা ইপিআই কেন্দ্রে টিকা দেবেন। টিকার নিবন্ধন করা না থাকলেও যে কেউ এ টিকা নিতে পারছেন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনার টিকাগ্রহণে সাধারণ মানুষের কষ্ট কমাতে গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। উপজেলায় ৪০৮টি ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে ৩০০ জন করে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ পাবেন।
প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার এ টিকা দেওয়া হবে। একেক দিনে ৫১টি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৩০০ জন টিকা নিতে পারবেন। জানুয়ারি মাস জুড়ে গ্রাম পর্যায়ে করোনার টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
সূত্রটি বলছে, যাঁদের টিকার নিবন্ধন নেই তাঁরাও টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। জন্মসনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে গেলে তিনি টিকা পাবেন। যাঁদের কোনো কাগজপত্র নেই তাঁরা ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন নিয়ে টিকা নিতে পারছেন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়মিত নিবন্ধনকারীদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে গ্রাম পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করেছি।’