বিনোদন ডেস্ক
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। পাঁচ ভাইবোনকে পিতৃস্নেহে আগলে বড় করেছেন তিনি। রোববার এই কিংবদন্তির মহাপ্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন বিশ্ব সংগীতাঙ্গন। শোকে কাতর তাঁর পরিবার, প্রিয়জনেরা।
রোববার শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন শোকস্তব্ধ আশা ভোঁসলে। বোন হারিয়ে ভীষণ মন খারাপ তাঁর। বাড়ি ফিরে তাই গভীর রাতে লতার সঙ্গে শৈশবের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। লেখেন, ‘দিদি আর আমি, আমাদের ছেলেবেলাটা কত দুর্দান্ত ছিল’। সঙ্গে জুড়ে দেন ভালোবাসার ইমোজি। এই ছবিতে লাইক, কমেন্টের বন্যা। এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে তারকাদের মন্তব্যেরও ছড়াছড়ি। শেষ সময়ে দিদির পাশেই ছিলেন আশা। হাসপাতাল থেকে বাড়ি, বাড়ি থেকে শিবাজি পার্ক, সেখান থেকে শ্মশান। আশা ছিলেন বোনের ঠিক পাশে।
ভাইবোনদের ব্যাপারে বেশ রক্ষণশীল ছিলেন লতা। তাই হয়তো মেনে নিতে পারেননি বোন আশার মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত। আশার সেই সিদ্ধান্তই নাকি তাঁর সঙ্গে সাময়িক দূরত্ব তৈরি করেছিল মঙ্গেশকর পরিবারের। হিন্দি প্লেব্যাকে সুরাইয়া-শমসাদ বেগম-পরবর্তী সময়ে যেমন নিজের রাজকীয় জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন লতা, অন্য দিকে স্বকীয়তায় গীতা দত্তের শূন্যস্থান পূরণ করছিলেন আশা। ও পি নাইয়ার, আর ডি বর্মনের হাত ধরে বৈচিত্র্যের যে নিজস্ব ‘ঘরানা’ তৈরি করলেন আশা, তা নিয়ে গর্বিত ছিলেন তাঁর দিদি।