খায়রুল বাসার নির্ঝর
‘জাগরণ’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন। এ ছবির গল্প কী নিয়ে?
বাংলাদেশের বড় একটা বিজয়—তিন বিঘা করিডর। দীর্ঘদিনের এই ইস্যুটায় ভারতের সঙ্গে একটা সমাধানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। ছবিটি তৈরি হচ্ছে ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে। মনের মতো একটি গল্পে কাজ করতে যাচ্ছি।
শিল্পীদের অনেকেই বিদেশে স্থায়ী হচ্ছেন। ওমর সানী-মৌসুমীর এমন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
না, আমার মেয়ে আমেরিকান পাসপোর্ট হোল্ডার। আমার ও মৌসুমীর মাল্টিপল ভিসা আছে। আমার শাশুড়ি থাকেন আমেরিকায়, দুই শ্যালিকা থাকেন। আমার পুত্রবধূ আয়েশা কানাডার নাগরিক। তাঁকে বলেছিলাম, আমার ছেলেকে বিয়ে করতে হলে কিন্তু বাংলাদেশেই থাকতে হবে। ওরা রাজি হয়েছে। একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই— এই দেশটি আমার। আমি মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। এই দেশ আমাকে যশ-খ্যাতি-প্রতিপত্তি—সবই দিয়েছে। এ দেশ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এবার ওমর সানী-মৌসুমী প্রার্থী হবেন—এমন গুঞ্জন চলছে। এ বিষয়ে কিছু বলবেন?
শিল্পী সমিতির আগামী নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। সাধারণ ভোটার হিসেবেই আমি ভোট দিতে যাব। অনেকের কৌতূহল আছে, মৌসুমী ভোটে দাঁড়াবেন কি না! মৌসুমীর তেমন ইচ্ছে নেই। তবে আমার ইচ্ছের কথা যদি বলেন, আমি তাঁকে শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, হয়তো মৌসুমী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
একজন সিনিয়র শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলোর প্রতি কোনো বার্তা দিতে চান?
আমি চলচ্চিত্রের সব সংগঠনের ভালো চাই। তাদের প্রতি আমার একটাই কথা, শুধু সংগঠন করলেই হবে না। এই নির্বাচন, সংগঠন, অ্যাজেন্ডা আর ঝগড়া-বিবাদ নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। আমাদের যত প্ল্যাটফর্ম আছে, সব জায়গায় নিয়মিত ছবি বানিয়ে আগে প্রযোজকদের বাঁচাতে হবে। প্রযোজক যদি ব্যবসা করতে পারেন, তাহলে আমরাও বাঁচব।
এ দেশে শিল্পীদের বয়স বেড়ে গেলেই চলচ্চিত্রে তাঁরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তাঁদের সদ্ব্যবহার করার সুযোগ এখানে খুব কম। আপনার কী মনে হয়?
এটা মানসিকতার সমস্যা। একদিকেই আমরা ধাবিত হই। পাঁচটা গান, পাঁচটা ফাইট, আর হিরো-হিরোইন থাকবে, ভিলেন থাকবে হিরো কিংবা হিরোইনের ভাই—এর মধ্যেই কিন্তু আটকে আছে।গতানুগতিক একটি স্টাইলেই ছবি তৈরি হচ্ছে, কেন দেখবে দর্শক? আপনি দক্ষিণ ভারতে দেখেন। সিনিয়র-জুনিয়র সবাইকে নিয়ে কত দারুণ ছবি তৈরি হচ্ছে সেখানে! আরেকটি বিষয় খুব শুনছি ইদানীং, অনেকেই অনেকের সঙ্গে অভিনয় করতে চান না। এই প্রবণতা অবশ্যই বাদ দিতে হবে।