Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

টেন্ডার ছাড়াই কাটা হলো বন বিভাগের পাঁচ গাছ

ময়মনসিংহ ও ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি

টেন্ডার ছাড়াই কাটা হলো বন বিভাগের পাঁচ গাছ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই বন বিভাগের পাঁচটি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, অচিরেই উন্মুক্ত টেন্ডারে নিলাম করার শর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে সমন্বয় করেই গাছগুলো অপসারণ করা হয়েছে। তবে ইউএনও বলেছেন, গাছ কাটার বিষয়টি তিনি অবগত নন।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত কিশোরগঞ্জ-কেন্দুয়া মহাসড়কের পাশে বন বিভাগের পাঁচটি গাছ কাটার সত্যতা মিলেছে। তবে বন বিভাগের দাবি, তাঁরা তিনটি গাছ অপসারণ করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাছগুলো কাটার পর আঠারবাড়ি রায়েরবাজারে অবস্থিত ইদ্রিস আলী নামের এক ব্যক্তির করাতকলে রাখা হয়। স্থানীয়রা জানান, একে তো সরকারি প্রক্রিয়া না মেনেই গাছগুলো কাটা হয়েছে, অন্যদিকে সেগুলো রাখা হচ্ছে করাতকলে। কাটা গাছগুলো অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে করাতকলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, টেন্ডার ছাড়া অবৈধভাবে সরকারি গাছগুলো কেটে করাতকলে রাখা হয়েছে। টেন্ডার ছাড়া গাছগুলো কেন কাটা হয়েছে এবং সেগুলো করাতকলেই বা কেন রাখা হচ্ছে, এ বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তাঁরা।

গাছ কাটার সময় সরেজমিনে পাওয়া যায় বন বিভাগের ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেনকে। দেলোয়ার বলেন, উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা এবং সড়ক ও জনপথের (সওজ) কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সড়কের পাশের গাছগুলো কাটা হয়েছে। পরে সেগুলো তাঁর জিম্মায় দিলে তিনি ওইগুলো স্থানীয় একটি করাতকলে রাখেন।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘কদিন আগে ঝড়ের কবলে পড়ে আঠারবাড়ি এলাকায় কেন্দুয়া-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে দুটি গাছ হেলে পড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কা সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা আমাকে বিষয়টি অবগত করলে আমি ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ওই দুটি গাছসহ আরও একটি গাছ অপসারণ করি। কয়েকদিনের মধ্যেই ওই কাটা গাছগুলো উন্মুক্ত টেন্ডারে নিলাম করা হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত কেন্দুয়া-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে গাছ অপসারণের বিষয়ে আমি অবগত নই। গাছ অপসারণের আগে বন বিভাগ এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো সমন্বয়ই করেনি।’

ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমিন বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গাছ কাটার নিয়ম রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভোগান্তির কারণ হলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে গাছ কাটা যায়। সেখানে কী হয়েছে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ