আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
সিরাজদিখান উপজেলার মরিচা-তুলশীখালী সড়কটি খানাখন্দে জর্জরিত। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। শুষ্ক মৌসুমে পুরো এলাকা ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রায় ১৫ বছর সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে ভাঙন ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে জলাশয়ে পরিণত হয়। অবস্থান বুঝতে না পেরে অনেকেই সেই গর্তে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে অহরহ। শুষ্ক মৌসুমে ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়। এতে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সড়কের দুই পাশে বসবাসকারীরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর সড়ক খুঁড়ে রেখে অজ্ঞাত কারণে চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকেই সড়কটি খানাখন্দ আর ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়।
তুলশীখালী গ্রামের বাসিন্দা আওলাদ মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটি খানাখন্দে জর্জরিত হয়ে আছে। হেঁটেও চলাচল করা দায়। সড়কের পাশেই বাড়ি হওয়ায় ধুলার কারণে ঘরে বসে খাওয়া-দাওয়াও করা যায় না। দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকায় চলাচল করা যায় না। বিষয়টি জেলা সমন্বয় মিটিংয়ে জানিয়েছি। রাস্তাটি সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাস্তাটি প্রায় ১৫ বছর ধরে খানাখন্দে জর্জরিত হয়ে আছে। এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি ও হেঁটে চলাচল করা যায় না। জেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি জানিয়েছি। সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলীকেও অবহিত করা হয়েছে। সড়কটি সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মাহি বি চৌধুরী বলেন, রাস্তাটির অল্প একটু অংশ এলজিইডির। বাকি অংশ সওজের। সে ক্ষেত্রে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে এটি এলজিইডিতে ট্রান্সফার করে দেন। যদি ট্রান্সফার করা হয়, তবে আমাদের বরাদ্দে এই রাস্তাটি সংস্কার করা যাবে। এ লক্ষ্যে উদ্যোগ নিচ্ছি, যেন অতি শিগগিরই রাস্তাটির সংস্কারকাজ শুরু করতে পারি।