ঢাকা-বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে করে বাড়ি ফিরছিলেন অসুস্থ বাবাকে দেখতে আইরিন আক্তার রিনা (৪৬)। সঙ্গে ছিলেন ছেলে রনি সিকদার (১৭) ও মেয়ে রোশনী আক্তার লিমা (১১)। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের সময় রনি সিকদার নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বেঁচে গেলেও নিখোঁজ রয়েছেন তাঁর মা ও বোন লিমা।
আহত দগ্ধ রনি সিকদার বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শেবাচিমের সার্জারি ইউনিট-৩ এর প্রধান চিকিৎসক মো. ফেরদৌস।
তাঁদের গ্রামের বাড়ি মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামে।
রনি সিকদার বলেন, নানাকে দেহার জন্য মা ও বুইনটারে নিয়ে লঞ্চে ওডি। লঞ্চের দুইতালায় ডেকে বিছনা করি। হঠাৎ লোকজনের ডাহাডাহিতে ঘুম ভাঙা যায়, দেখতে পাই আগুন আর আগুন। দৌড়াইয়া মা ও বুইনটারে লইয়া লঞ্চের তিন তালার ছাদে যাই। মায়রে ও বুইনটারে ছাদ থেকে লাফ দিতে কই। কিন্তু বুইন (লিমা) সাঁতার জানতনা। গরমে আমার পা পুইররা যাওয়ায় আমি ছাদ থেকে লাফাইয়া পড়ি। মা আর বুইনটা ছাদেই থাইক্কা যায়।