Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ভোটের পরে সংঘর্ষ আহত ১০০ জন

আজকের পত্রিকা

ভোটের পরে সংঘর্ষ  আহত ১০০ জন

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ দুই উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে:

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ): জগন্নাথপুরে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল সকালে উপজেলার চিলাউড়া-হলিদপুর গ্রামে সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন। গত রোববার অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলে ওই ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হীরা মিয়া আপেল প্রতীকে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আহমদ আলী। ফলাফল ঘোষণার পর কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা পরাজিত সদস্য প্রার্থী আহমদ আলীর সমর্থকেরা তাঁদের পাশের বাড়ির ইন্তাজ আলীর পরিবারকে দোষারোপ করেন বিজয়ী হীরা মিয়া ও অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নোমান আহমদকে ভোট দিয়েছে বলে। এ নিয়ে প্রথমে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়, পরে সন্ধ্যায় আহমদ আলীর সমর্থকেরা ইন্তাজ আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করলেও এর জের ধরে সোমবার সকালে ইন্তাজ আলীর সমর্থকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে আহমদ আলীর সমর্থকেরা সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করে।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

বানিয়াচং (হবিগঞ্জ): বানিয়াচংয়ে পরাজিত ইউপি সদস্যের সমর্থকেরা বিজয়ী সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার ১ নম্বর ইউনিয়নের চতুরঙ্গরায়ের পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজনকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, চতুরঙ্গরায়ের পাড়া গ্রামের বিজয়ী হয়েছেন ইউপি সদস্য নাসিরুদ্দীন চৌধুরী। একই ওয়ার্ড থেকে ইউপি সদস্য পদে পরাজিত হন চান মিয়া। নির্বাচন চলাকালীন থেকে এ দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এদিকে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় চান মিয়ার সমর্থকেরা নাসিরের বাড়িতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এ খবর পান নাসির উদ্দিন। তাৎক্ষণিক তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের কাছে সাহায্য চান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে চান মিয়ার সমর্থকেরা হামলা চালায়। হামলা থামাতে গিয়ে বানিয়াচং থানার এসআই রফিকুল ইসলাম, এসআই মনিরুল হক মুন্সি, এসআই ওমর ফারুক, কনস্টেবল সন্তোষ, রাশেদ আল মমিনসহ দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। ঘটনাস্থলে বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বানিয়াচং থানার ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ