হোম > ছাপা সংস্করণ

আশুলিয়ায় বেশির ভাগ পোশাক কারখানা খুলেছে, পাহারায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা) 

ঢাকার আশুলিয়ার প্রায় সব পোশাক কারখানাই গতকাল বৃহস্পতিবার খুলেছে। তবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হাতে গোনা কয়েকটি কারখানা ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে সহিংসতা ঠেকাতে গতকাল সকাল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মী ও শ্রমিকেরা আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন। তাঁরা বহিরাগত বা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের নিবৃত্ত করতে বিভিন্ন কারখানার সামনেও মহড়া দেন।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক অসন্তোষের মুখে গতকাল মেডলার অ্যাপারেলস লিমিটেড, টাউজার লাইন লিমিটেডসহ নাসা গ্রুপের কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়া সকাল ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ কিছু শ্রমিক নরসিংহপুর এলাকার হা-মীম গ্রুপের কারখানার মূল ফটক লাঠিসোঁটা দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেন। স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া দেন। এ সময় উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা কয়েকজনকে ধরে পিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

একই এলাকার শারমিন গ্রুপের কারখানার সামনে থেকে হামলাকারী সন্দেহে দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় লোকজন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হামলার আতঙ্কে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার আগামী অ্যাপারেলস লি. নামক একটি কারখানা ছুটি দিয়ে দেয়। এ ছাড়া জিরাবো-বিশমাইল সড়কে এভারব্রাইট সোয়েটার্স কারখানার সামনে এবং দুর্গাপুর এলাকার ফ্যাশন ডটকম গার্মেন্টসের সামনে কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয়দের লাঠি হাতে অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়।

এর আগে পলাশবাড়ী এলাকায় পার্ল গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকেরা টিফিন ভাতা, হাজিরা বোনাস ৮০০ টাকা করা, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ নানা দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের চন্দ্রাগামী লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর, জিরাবোসহ আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের পাশের বিভিন্ন কারখানার সামনে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি কিছু শ্রমিকও কয়েকটি কারখানার সামনে পাহারা বসান।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, পোশাকশিল্প দেশের সম্পদ। এই শিল্পের চাকা না ঘুরলে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে। তাই পোশাকশিল্পকে রক্ষায় তাঁরা পাহারা দিচ্ছেন।

এদিকে গতকাল দুপুরে আশুলিয়ার আল মুসলিম গ্রুপের একটি কারখানার জিএমকে মারধর করেছেন শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) সারোয়ার আলম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে পুলিশ সুপার ও ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।

পুলিশ সুপার (এসপি) সারোয়ার আলম বলেন, ‘আল মুসলিমের কারখানার জিএমকে শ্রমিকেরা পিটিয়ে মেরেই ফেলতে চেয়েছিলেন। আমরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করি। এ সময় আমার চোখে আঘাত পাই।’

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এসপি মোহাম্মদ সারোয়ার আলম গতকাল বলেন, আজ (গতকাল) আশুলিয়ার প্রায় সব কারখানাই চালু রয়েছে। এসব কারখানায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হয়। তবে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কয়েকটি কারখানা ছুটি দেওয়া হয়।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন