দেড় বছর পর বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের দরজা খুলল। সুগন্ধা নদীতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ রোগীদের সেখানে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। দগ্ধ রোগীদের শুক্রবার সকালে বরিশাল শেবাচিমে আনার পর প্রথমে নারী ও পুরুষ সার্জারি ও শিশু বিভাগে এবং পরে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় চক্ষু বিভাগের একটি কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৫ জন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২ জন বার্ন বিশেষজ্ঞসহ মোট ৭ জন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা চলছে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রোববার পর্যন্ত ৪১ জন রোগী শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় তাদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছিল। রোববার থেকে বার্ন ইউনিটটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সবকিছু গোছানোর পর লঞ্চে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হবে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লঞ্চ দুর্ঘটনায় দগ্ধ রোগী খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার মো. ইব্রাহিম (৪০) জানান, ঢাকা থেকে চিকিৎসকেরা আসার পর এখানে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় গতি বেড়েছে। দুর্ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের এখন শরীরে আরও বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসক দলের অন্যতম সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা রোগীদের পর্যবেক্ষণে রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছেন। প্রয়োজনে জরুরি অপারেশনের জন্য অপারেশন থিয়েটার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বরিশালের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূইয়া জানান, তাদের তদন্ত কমিটি গত রোববার শেবাচিম হাসপাতালে গিয়ে আহত রোগীদের বক্তব্য নিয়েছেন।