২০ বছর ধরে পেটে কাঁচি বয়ে বেড়ানো সেই বাচেনা খাতুনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. ওলিউর রহমান নয়নের কাছে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাচেনা খাতুনের ছোট ছেলে ইয়ামিন হোসেন।
এদিকে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চুয়াডাঙ্গার নওদা হাপানিয়া গ্রামের বাচেনার চিকিৎসার ভার নেন অভিযুক্ত রাজা ক্লিনিকের মালিক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা।
ইয়ামিন জানান, বেলা ১১টার দিকে তাঁর মা ও বাবাকে পাঠানো হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। মায়ের চিকিৎসা ভার নিয়েছেন রাজা ক্লিনিকের মালিক।
পারভিয়াস হোসেন রাজা বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরই রোগীকে আমার ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। একটি এক্স-রে ও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। এক্স-রেতে একই ফল মিলেছে। তবে রোগীর ডায়াবেটিক রয়েছে। তাঁর সুগারের মাত্রা ছিল ২০। এরপর তাঁকে বিশেষেজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণের পর অস্ত্রোপচারে যাবেন চিকিৎসকেরা।’
ডা. ওলিউর বলেন, ‘বাচেনার খাতুনের আমার কাছে আসার কথা রয়েছে। আসলে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিভিল সার্জন ডা. জাওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর আমরা বিস্মিত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’