বরগুনার ৬টি উপজেলায় শতাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। ক্লিনিকগুলোর বেশির ভাগই নিবন্ধহীন ও অবৈধ। এ ছাড়া নিবন্ধিত ক্লিনিকের মধ্যে দু-একটি বাদে অন্যগুলো নিবন্ধনের শর্ত পূরণ ছাড়াই চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কড়াকড়ির কারণে জেলার ১৮ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের সংখ্যা ১০৭। এর মধ্যে সদরে ৩৭, আমতলীতে ১৯, বামনায় ১০, বেতাগীতে ৮, পাথরঘাটায় ২৭ ও তালতলীতে ৬টি। এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৪৬টির ছাড়পত্র বা লাইসেন্স নবায়ন নেই দুই থেকে ছয় বছর।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, গত ৫ বছরে বরগুনায় অপচিকিৎসার শিকার হয়ে কমপক্ষে ২০ জন প্রসূতি ও ৫ জন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আর এসবই ঘটেছে অনিবন্ধিত ক্লিনিকে। প্রসূতিরা এসব ক্লিনিকে গেলেই সিজারের পরামর্শ দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় টাকা। আর ভাড়াটে কিছু চিকিৎসক আসেন এখানে রোগী দেখতে।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘সব নিয়মনীতি বাস্তবায়ন করতে চাইলে বরগুনার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা ক্লিনিকও চলবে না। তাই আমরা চেষ্টা করছি এগুলোকে যথাসম্ভব নিয়মের মধ্যে রাখতে।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোনটা কোন অবস্থায় আছে, সে বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এরপর তাঁদের সতর্ক করা হবে।’