ঢাকার সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক কিশোরের (১৫) পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না। মাথায় গুলিবিদ্ধ কিশোরটিকে ৫ আগস্ট অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী জানান, ৫ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন লোক কিশোরটিকে তাঁদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তার মাথার পেছন দিক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাঁরা জানিয়েছিলেন, কিশোরটির নাম রাকিব। আন্দোলন চলাকালে সে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে থানার পাশে রাস্তার ওপর অচেতন অবস্থায় পড়েছিল। তার বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি তাঁরা।
ইউসুফ বলেন, গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত কিশোরটির খোঁজে কেউ আসেননি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাকে ওষুধ ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কিশোরটির শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা হলে হাসপাতালের নিউরো আইসিও বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট আরিফ হাসান তানভীর বলেন, কিশোরটির মাথার পেছন দিক থেকে গুলি ঢুকে মস্তিষ্কের মধ্যে আটকে রয়েছে। গুলিটি বের করা বেশ ঝুঁকির কাজ। অস্ত্রোপচারের সময় টেবিলেই তার মৃত্যু হতে পারে। তাই গুলি বের করার চেষ্টা না করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ না হলে ধীরে ধীরে সে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
চিকিৎসক আরিফ জানান, কিশোরটিকে যেদিন ভর্তি করা হয়, সে দিন পুরোপুরি অবচেতন ছিল। দুই দিন পর চেতনা ফিরতে শুরু করলে সে অস্পষ্টভাবে কথা বলতে থাকে। এখন সে আংশিক অবচেতন অবস্থায় আছে।