মেডিকেল বর্জ্য বিশোধনে ইন্সিনেটর প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। নগরীর হালিশহরের আনন্দবাজারে স্থাপিত এই প্ল্যান্টে প্রতিদিন ৫ টন মেডিকেল বর্জ্য ধ্বংস করা যাবে বলে জানিয়েছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার ইন্সিনেটর প্ল্যান্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন মেয়র। এতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনের (জাইকা) ৩ কোটি টাকা ও চসিকের ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সংক্রামক মেডিকেল বর্জ্য নিষ্কাশনে গুরুত্ব দিয়ে ইন্সিনেটর প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে দৈনিক ৫ টন মেডিকেল বর্জ্য ধ্বংস করা যাবে। এটি একটি পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। প্ল্যান্টটিতে মেডিকেল বর্জ্য পোড়ানো হবে পরিবেশ সম্মত উপায়ে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ রোধ হবে, অন্যদিকে সংগৃহীত মেডিকেল বর্জ্যের কারণে সংক্রামক রোগ ছড়ানো অনেকাংশে কমে আসবে।
মেয়র আরও বলেন, করোনার এই সময়ে যেভাবে মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে তাতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়াও শিল্প বর্জ্যের কিছু অংশ ভাগাড়ে ও কিছু অংশ নালা-নর্দমার মাধ্যমে নদী-সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে মেডিকেল বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইড লাইন অনুসরণ করে অটোক্লেভ মেশিনের মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করে তা বায়োসেফটিক্যাল ব্যাগে ভরে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে এই প্ল্যান্টটি অবদান রাখবে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, যুগ্ম সচিব সবুর হোসেন, জাইকার চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ হাইয়া কাওয়া ইয়োহো, সিনিয়র রিপ্রেজেনটেটিভ সাইকি তাকাশি, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম প্রমুখ।