দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে পেঁয়াজের আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তবে আগের নেওয়া আইপির মাধ্যমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমা অব্যাহত রয়েছে। পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে যাওয়া পাইকারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে। খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজনও।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে তিন দিনের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪ টাকা করে। বন্দরে ইন্দোর জাতের পুরোনো পেঁয়াজ তিন দিন আগে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তা কেজিতে ৪ টাকা করে কমে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২৩ টাকা ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশীয় নতুন পেঁয়াজ ওঠার কারণে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের দাম কম থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে। অপরদিকে বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন জাতের পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে রয়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা অনেক পেঁয়াজে গাছ বের হয়ে যাওয়া ও মান খারাপের কারণে দম পড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ উঠানামা করছে। কোনো দিন একটু বেশি, আবার কোনো দিন একটু কম, এভাবে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। তিনি জানান গত বুধবার বন্দর দিয়ে ৯টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।